খেলাধুলা

সেদিন কেঁদেছিলেন মাশরাফিও

ভারতের গৌহাটিতে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ভারোত্তোলনের ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণ জয়ের পর যখন জাতীয় সঙ্গীত হচ্ছিল, তখন অঝোর ধারায় কাঁদছিলেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব দ্রুত সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে আনন্দ অশ্রুতে ভাসতে শুরু করে পুরো দেশ। সেই ভিডিও দেখে সেদিন নীরবে আর গোপনে কেঁদেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

Advertisement

সোমবার গুলশানে দেশের প্রথম ক্রীড়া রেডিওর উদ্বোধন করেন মাশরাফি, মামুনুল ও মাবিয়া। তখন মাশরাফি একথা বলেন। সেদিনের কথা বলতে গিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘এখনও স্পষ্ট মনে আছে। তখন আমরা চট্টগ্রামে ক্যাম্পে যাচ্ছি। ফেসবুক অন করে দেখি আপনি (মাবিয়া) কাঁদছেন। প্রথমে বুঝতে পারিনি। পুরোটা জানার পর…গাড়ির গ্লাসগুলো বন্ধ ছিল। অন্ধকার। মনের অজান্তে আমিও কাঁদছিলাম।’

মাশরাফি এ সময় হাসতে হাসতে বলেন, ‘এমন না যে আমি শুধু ক্রিকেট দেখি আমি কিন্তু আপনাদের খেলাও দেখি এবং মনে প্রাণে চাই আপনারা জেতেন। আমিও আপনাদের ফলো করি অন্যান্য খেলাও ফলো করি। হকি খেলা (এশিয়া কাপ) হলো, সাউথ আফ্রিকায় ছিলাম। যদিও ওভাবে দেখা হয়নি তবে রেজাল্ট ফলো করেছি। আমি মনে-প্রাণে চাই আপনারা ভালো করেন।’

এ সময় মাশরাফি একটা ক্রীড়া চ্যানেলের গুরুত্বের কথাও বলেন। তিনি বলেন, ‘এই জন্য বারবার বলছি একটা স্পোর্টস টিভি চ্যানেল যদি আসে…আরও বেশি ফলো করতে পারব। রেডিওর মাধ্যমে শুরু হলো, সামনে হয়ত টিভি চ্যানেল চলে আসবে।’

Advertisement

এদিকে মাশরাফিকে মামুনুল ও মাবিয়া সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণার হিসেবে দেখে বলে জানান দেশের এই দুই তারকা অ্যাথলেট। দুই হাঁটুতে সাতটি সার্জারি নিয়ে মাশরাফি যেভাবে খেলেন তা দেখে দেশের সকল ক্রীড়াবিদের অনুপ্রেরণা নেওর কথা বলেন তারা (মামুনুল ও মাবিয়া)।

এমএএন/বিএ