গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় খাস জমি দখলে বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় অনিল কুমার সরকার মুংলু (৫০) নামে এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হন। সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের জামুডাঙ্গা (জালাদুর মোড়) গ্রামে শনিবার সকাল ৯টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে। অনিল কুমার সরকার মুংলু ওই গ্রামের মহেন্দ্র নাথ সরকারের ছেলে। তিনি পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোছা. সুরপি বেগম (২৮) ও মোছা. মালেকা বেগম (৫০) নামে দুই নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আহতরা হলেন, অজিত কুমার সরকার ভুট্টু (৪৫), সুমন চন্দ্র সরকার (৪৮), সঞ্জয় কুমার সরকার (১৮), লিটন কুমার (২০) ও সুশান্ত কুমার (৩৫)। তাদের সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে অজিত কুমার সরকারের অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। এলাকাবাসীরা জানান, অনিল কুমার সরকার মুংলুর সঙ্গে একই গ্রামের আকবরের ছেলে সিদ্দিক মিয়ার জালাদুর মোড় এলাকার খাস জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও মামলা চলে আসছিল। শনিবার সকালে সিদ্দিক মিয়া তার লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করতে যান। খবর পেয়ে অনিল কুমার ও তার লোকজন তাদের ঘর নির্মাণে বাঁধা দেন। এসময় সিদ্দিক মিয়ার লোকজন লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অনিল সরকারসহ তার সাথে থাকা লোকজনের উপর হামলা চালান। হামলার ঘটনায় অনিল সরকারসহ ৫ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় অনিল সরকারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তিনি মারা যান। দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনোয়ারুল হাসান জীম মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে জানান, খাস জমি নিয়ে আদালতে মামলা থাকা সত্বেও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের পরোক্ষ ইন্ধন ও হুকুমে সিদ্দিক মিয়া পরিকল্পিতভাবে লোকজন নিয়ে খাস জমি দখলের চেষ্টা করে হামলার ঘটনা ঘটান। সাদুল্যাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্রী রামজীবন ভৌমিক জাগো নিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দা, কুড়াল, খন্তি, বেকিসহ কিছু ধারালো অস্ত্র ও বাঁশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাদুল্যাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরহাদ ইমরুল কায়েস জাগো নিউজকে জানান, আটক ২ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট পেলে মৃত্যু সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছিল। অমিত দাশ/এমজেড/এমএস
Advertisement