ফেনীর ফতেপুরে খালেদা জিয়ার বহরে থাকা সাংবাদিকদের গাড়িতে হামলার ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মামলা হয়নি। কোনো হামলাকারীকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে হামলার ঘটনার ফুটেজ ও ছবি প্রকাশের পর জড়িতদের শনাক্ত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে দেখা যায় স্থানীয় শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম ভুইয়ার নেতৃত্বে হামলায় অংশ নেয় একই ইউপি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রিয়েল, যুবলীগ কর্মী সুমন।
Advertisement
তবে শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জানে আলম তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, ‘হামলার সময় আমি ফেনী পৌরসভার সামনে ছিলাম তবে লোকমুখে শুনেছি বিএনপির ভিপি জয়নাল ও গাজী মানিক গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হন।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, বিষয়টি তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। তিনদিন পর এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
এদিকে ফেনী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল উদ্দিন আলাল জাগো নিউজকে বলেন, ম্যাডামের বহরে থাকা সাংবাদিকদের উপর হামলায় স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরাই জড়িত।
Advertisement
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে থাকা বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ বিভিন্ন সংস্থার সাংবাদিক বহনকারী অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করা হয়। হামলায় সাংবাদিকসহ অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন।
আহত সংবাদিকরা জানান, শনিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মোহাম্মদ আলী বাজারের ফতেহপুরে ১৫-২০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে উঠে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আটকে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় কয়েকজনের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও দেখা গেছে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের নীরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা যায়। এতে একাত্তর, ডিবিসি, চ্যানেল আই ও বৈশাখী টেলিভিশন, একুশে টিভি, বাংলাভিশন, এটিএন নিউজের গাড়ি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের একটি মাইক্রোবাসও হামলার মুখে পড়ে। কালের কণ্ঠ, নয়া দিগন্ত, যুগান্তর, যায়যায়দিন, গাজী টিভি, আমাদের সময়, নিউএজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরাও হামলার শিকার হন।
জহিরুল হক মিলু/এফএ/জেআইএম
Advertisement