প্রায় দেড়-দশক পর অবশেষে দেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতের স্বপ্নের ‘প্রকল্প হাইটেক পার্ক’ নির্মিত হতে যাচ্ছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ২৩২ একর জমির ওপর মোট ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয়ে এ হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট টেকনোপলিস লিমিটেড ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইনফিনিটি ইনফোসিস পার্কস লিমিটেড যৌথভাবে এ অর্থের যোগান দেবে।এ লক্ষ্যে সরকার খুব শিগগিরই ডেভেলপার কোম্পানি নিয়োগ করতে যাচ্ছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।তারা জানান, কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক (কেএইচটিপি) নির্মাণ কাজ দ্রুত শুরুর করার জন্য রোববার বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি (বিএইচটিপিএ) ও সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনের ওয়াটার গার্ডেনে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ প্রধান অতিথি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথি থাকবেন।বিএইচটিপিএ কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে পার্কের মোট জমি পাঁচটি ব্লকে ভাগ করেছে।এর মধ্যে ২ ও ৫ নং ব্লকের জন্য সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর করা হচ্ছে।কর্মকর্তারা জানান, সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির কয়েক সপ্তাহ পর বাংলাদেশের আরো একটি একটি স্থানীয় কোম্পানি ফাইবার অ্যাট দ্য রেট হোমের সঙ্গে ব্লক-৩ এর জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এ চুক্তি হলে এ কোম্পানি ৪০ একর জমির উন্নয়ন কাজ লাভ করবে।এদিকে খসড়া চুক্তি অনুযায়ী সামিট টেকনোপলিস লিমিটেড ও ইনফিনিটি ইনফোসিস পার্কস লিমিটেড যৌথভাবে ব্লক-২ এর অধীনে ৬২ একর জমির ওপর মাল্টি-টিন্যান্ট বিল্ডিং (এমটিবি), কনভেনশন সেন্টার, হোটেল, শুল্ক-অবকাঠামো, ওয়্যারহাউস এবং শিল্প-এলাকার উন্নয়ন কাজে ২০ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করবে।এছাড়াও তারা ব্লক-৫ এর অধীনে ২৯ একর জমির ওপর শিল্প-এলাকার উন্নয়ন কাজের পাশাপাশি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন নির্মাণ করবে।বিএ/পিআর
Advertisement