আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবিকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত তথা করুণার আধার করে সৃষ্টি করেছেন। যারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের ওপর ঈমান আনবে, সে প্রিয়নবির রহমত ও করুণা গ্রহণ করবে। এ রহমত ও করুণার ফলে ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও পরকালে সুখ শান্তি লাভ করবে।
Advertisement
প্রিয়নবি যেহেতু বিশ্ববাসীর জন্য রহমত সেহেতু তিনি বিশ্ববাসীকে দুনিয়া ও পরকালের সুখ-শান্তি ও সঠিক পথের সন্ধান দিতে আগমন করেছেন।
উলামায়ে কেরাম তাঁকে এ অর্থে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, ‘প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কারণেই বিশ্ববাসী ব্যাপক ধ্বংসের হাত থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। কেননা পূর্ববর্তী অনেক জাতিকে যেভাবে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল সেভাবে উম্মতে মুহাম্মাদিকে আজাব দিয়ে ধ্বংস করে নির্মূল করা হয়নি।
আল্লাহ তাআলার ঘোষণা, ‘আমি তো আপনাকে বিশ্বজগতের জন্য শুধু করুণা রূপেই প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ১০৭)
Advertisement
তিনি শুধু মুসলিম উম্মাহর জন্যই ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ ছিলেন না, তিনি মুশরিকদের জন্যও রহমত স্বরূপ ছিলেন। কারণ, মুশরিকদের ওপর বদদোয়া বা অভিশাপ না করাও ছিল তাঁর করুণারই একটি অংশ।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অমুসলিমদের ব্যাপারে বদদোয়ার আবেদন করলে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি অভিশাপকারী হিসেবে প্রেরিত হইনি; আমি শুধুমাত্র করুণারূপে প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসলিম)
অনুরূপভাবে রাগান্বিত অবস্থায় কোনো মুসলিমকে তাঁর অভিশাপ করাকে কেয়ামতের দিন তাঁর জন্য রহমতের কারণ হওয়ার দোয়া করাও তাঁর দয়ারই একটি অংশ।’ (মুসনাদে আহমাদ)
এ কারণেই অন্য একটি হাদিসে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমি রহমতের মূর্তপ্রতীক হয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশ্ব জগতের জন্য একটি উপহার।’ (সহিহ জামে)
Advertisement
মুসলিম উম্মাহর উচিত, করুণার আধার প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথে কুরআন-সুন্নাহ মোতাবেক জবিন-যাপন করা।
আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে তাঁর বিধান ও প্রিয়নবির সুন্নাত অনুযায়ী জীবন গঠন করে পরকারে হাশরের ময়দানের কঠিন দিনে তাঁর সুপারিশ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর