মাত্র কয়েক বছর আগে মিয়ানমারের বিখ্যাত মন্দিরগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দিতেন বেয়ন্স ও জ্যা জেড। তাদের এ ছবি সামরিক জান্তা সরকারের আমলে পর্যটকদের জন্য মিয়ানমার যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছিল সেই বার্তায় দিচ্ছিল।
Advertisement
কিন্তু সেই স্বপ্নময় পর্যটন ভেঙে পড়েছে। পশ্চিম রাখাইনের পুড়ে যাওয়া গ্রাম ও সেনাবাহিনীর সহিংসতায় রোহিঙ্গা মুসলিমদের পলায়নের চিত্র বিশ্বকে হতবাক করেছে। সীমান্তের কাছে মানুষের ভোগান্তির যে চিত্র উঠে আসছে তা রাখাইনের নারকীয় তাণ্ডবের কথাই তুলে ধরছে।
আগস্টের শেষের দিকে রক্তপাত শুরু হওয়ায় দেশটির পর্যটন খাতের কর্মকর্তারা প্রচুর পর্যটকের মিয়ানমার সফর বাতিলের আবেদন পেয়েছেন। উদীয়মান এ শিল্প-খাতে বিশাল ধসের শঙ্কা করছেন তারা।
দেশটির পর্যটন সংস্থা নিউ ফ্যান্টাস্টিক এশিয়া ট্রাভেলস ও ট্যুরের তুন তুন নাইং বলেন, দেশের অস্থিতিশীলতার কারণে অক্টোবর এবং নভেম্বরের সব সফর বাতিল করেছেন পর্যটকেরা; কারণ রাখাইনের সহিংস পরিস্থিতি।
Advertisement
এএফপিকে তিনি বলেন, পর্যটকদের অধিকাংশই জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার অন্যান্য দেশের। নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা জানিয়ে তারা সফর বাতিল করছেন। কিছু ইউরোপীয় নাগরিক পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, মানবিক পরিস্থিতির কারণে তারা মিয়ানমারকে বয়কট করছেন।
ইয়াঙ্গুন ব্যস্ততম নগরী; ভাঙা ঔপনিবেশিক স্থাপত্যের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। কিছু বিদেশি পর্যটক এখনও সোনালি রঙের শোয়েদাগন মন্দির দেখার জন্য পুরনো এ রাজধানীতে ভিড় জমান। কিন্তু চলমান সঙ্কটের কারণে পর্যটকেরা অদ্ভূত পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ফরাসি পর্যটক ক্রিস্চিন তার আসল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দেশটিতে যা হচ্ছে তা দেখে খুব খারাপ লাগছে। আমাদের গাইডরা বলেছেন, মুসলিমরা বিপজ্জনক এবং তারা বার্মিজ নয়।’
শরৎকালীন ছুটিতে এশিয়া সফরে আসার কথা ছিল ব্রিটিশ প্রিন্স চার্লস এবং তার স্ত্রী ক্যামেলিয়ার। মিয়ানমার সফরের কথা থাকলেও আপাতত তা বাতিল করা হয়েছে।
Advertisement
সূত্র : এএফপি।
এসআইএস/আরআইপি