খেলাধুলা

এত দর্শক দেখে অবাক ক্যাম্পবেল!

ফিফার টেকনিক্যাল স্ট্যাডি গ্রুপের সদস্য হয়ে ভারতে এসেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার সোল ক্যাম্পবেল। ব্যক্তিগতভাবে দেশের জার্সি গায়ে খেলেছেন ৭৩ ম্যাচ। দেশের প্রায় সব জাতীয় যুব দলে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তার।

Advertisement

এবার ফিফার যুব বিশ্বকাপে টেকনিক্যাল স্ট্যাডি গ্রুপের সদস্য ঘুরে দেখেছে ভারতের বিভিন্ন ভেন্যুতে ছোটদের বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই। শনিবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুব ভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে স্পেন-ইংল্যান্ড ফাইনালের আগে যুব বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনাকালে সাবেক এ ইংলিশ ফুটবলারতো পঞ্চমুখ দর্শকের প্রশংসায়।

বড়দেরে বিশ্বকাপ ছাড়া ম্যাচের সময় গ্যালারি খুব কমই ভরে। তারপর এ টুর্নামেন্ট আবার অনূর্ধ্ব-১৭। ভারতের ৬টি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত এ বিশ্বকাপের বড় দিকই ছিল দর্শকদের গ্যালারি ভরিয়ে দেয়া। বিশেষ করে কলকাতায়। এখানকার দর্শকদের ফুটবল নিয়ে উৎসাহ দেখে বিমোহিত সোল ক্যাম্পবেল। ‘ফ্যান্টাস্টিক দর্শক। যুবাদের টুর্নামেন্টে এভাবে গ্যালারি ভরতে কমই দেখছি। আয়োজনও হয়েছে চমৎকার। আয়োজন আর দর্শক মিলিয়ে আমি বলবো দুর্দান্তই কাটলো এবারের যুব বিশ্বকাপটি’-ফাইনালের আগে বলছিলেন সল ক্যাম্পবেল।

ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক এ সেন্টার ব্যাক বলেন,‘অনেকদিন ধরে ভারতে আছি। আয়োজন খুবই ভালো হয়েছে। ভারতীয়দের ফুটবলপ্রেম দেখে আমি মুগ্ধ। যুব বিশ্বকাপ হলেও এদেশের মানুষের যে উন্মদনা দেখলাম, আমার বিবেচনায় ভারতকে আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া ফিফার সিদ্ধান্ত পুরোপুরি সঠিক হয়েছে। আমার মনে হয়, মূল বিশ্বকাপও এখানে হতে পারে।’

Advertisement

ছোটদের খেলার মান দেখেও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আর্সেনালের সাবেক এ ডিফেন্ডার, ‘খেলা দেখেছি। সত্যি মুগ্ধ করার মত। বিশেষ করে সেমিফাইনাল দুটি প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। রক্ষণ থেকে মুহূর্তে বল পৌছে গেছে প্রতিপক্ষ বক্সে; ম্যাচের গতিপথও পাল্টেছে ক্ষণে ক্ষণে। ছোটদের বিশ্বকাপ হলেও খেলার মান ও স্কিলের যথেষ্ট উন্নতি দেখলাম। ১৬/১৭ বছরের ছেলেরা যেভাবে মাঠে কোচের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে অবশ্যই প্রশংসনীয়। এরাই তো ভবিষ্যতে ফুটবল বিশ্ব শাসন করবে। ভারতের এর আসর যুব বিশ্বকাপের মান বাড়িয়ে দিয়েছে।’

যুব বিশ্বকাপে বেশ কয়েকজনের খেলা ভালো লেগেছে ক্যাম্পবেলের; এদের মধ্য থেকে ইংল্যান্ডের রিয়ান ব্রিউস্টার ও স্পেনের অ্যাবেল রুইজের কথা আলাদাভাবে বললেন তিনি। ‘টুর্নামেন্টে যারা খুব ভালো খেলেছেন, তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা এ দুইজন। লিভারপুলে খেলে পরিণত হয়ে উঠছেন ব্রিউস্টার। নিকট ভবিষ্যতে ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উঠবে তার। রুইজের পায়েও দারুণ কাজ আছে। স্পেন জাতীয় দলে এখন যারা খেলছেন, তাদের সঙ্গে খেলার মতো ফুটবলার সে।’

আরআই/আইএইচএস/আরএস

Advertisement