নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় রোকন। মানুষের ঈমান লাভের পরপরই নামাজের স্থান। যা মুসলমানের প্রধান ইবাদত। এ নামাজ আদায়কে ফরজ করা হয়েছে। আর নামাজের মাধ্যমেই মানুষ আত্মশুদ্ধি অর্জন ও মানসিক প্রশান্তি লাভ করে থাকে।
Advertisement
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘(হে রাসুল!) আপনার প্রতি যে কিতাব ওহি করা হয়েছে, তা পাঠ করুন এবং যথাযথভাবে নামাজ পড়ুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। আর অবশ্যই আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৪৫)
এ আয়াতে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে নামাজের গুরুত্ব ফুটে ওঠেছে। কুরআন পাঠ এবং নামাজ আদায় করার মাধ্যমে দুনিয়ার সব অনিষ্ট কাজ থেকে মুক্ত থাকার নিশ্চয়তা এসেছে। যার মাধ্যমে মানুষ বক্তি ও সমাজ জীবনে আত্মশুদ্ধি অর্জন এবং আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে। দৈনন্দিন জীবনে নামাজের সুদূর প্রসারী প্রভাব ও উপকারিতা রয়েছে। আর তাহলো-
নামাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যক্তি ও সমাজ জীবন থেকে যেমন অশ্লীলতা দূর হয়ে শৃঙ্খলা ফিরে আসে তেমনি আত্মশুদ্ধি অর্জন ও আত্মিক প্রশান্তির মাধ্যমে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি মসজিদে গমন ও নামাজ আদায় সমাজের উঁচু-নীচু, ধনি-নির্ধন দূরত্ব হ্রাস করে সাম্য ও ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে।
Advertisement
নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় মানুষকে সময়জ্ঞান ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে। নামাজে ইমাম ও মুক্তাদির আনুগত্য মানুষের মাঝে নেতৃত্ব ও আনুগত্যবোধ জাগ্রত করে। তৈরি হয় দায়িত্ববোধে একনিষ্ঠতা ও একাগ্রতা।
সর্বোপরি প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের ফলে মানুষের খারাপ গুণগুলো দূর হয় এবং ভালো গুণ বৃদ্ধি পায়। বেপরোয়া ও উচ্ছৃঙ্খলতা দূর হয়। সমাজের প্রতিটি কাজে ধীরস্থিরতা তৈরির মাধ্যমে সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়াও নিয়মিত নামাজ আদায়ে সামাজিক জীবনে মানুষের অনেক উপকারিতা রয়েছে। সুতরাং নিয়মিত নামাজ আদায় করুন। সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে নিজে নামাজ পড়ুন; অন্যকেও নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলুন। নামাজ হোক সুন্দর সমাজ গঠনের অনুপেরণা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে নামাজ প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/আরআইপি