খেলাধুলা

শেষ পাঁচ ওভারের আক্ষেপ সাকিবের

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। র‍্যাংকিংয়ে আফগানিস্তানের মত দলের পেছনে অবস্থান। এরই মধ্যে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে শুধু হোয়াইটওয়াশই নয়, কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি টাইগাররা। এর রেশ না কাটতেই শুরু হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

Advertisement

এ ফরম্যাটে দেশকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা সাকিব শুরুতেই এক ধাক্কা খেলেন। ১৯৬ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৭৫। মেনে নিতে হয়েছে ২০ রানের হার। কিন্তু এই হার আগের কয়েকটি হারের মতো নয়। ২০ ওভারের ম্যাচে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলেছে বাংলাদেশ।

প্রথম ম্যাচের শেষ পাঁচ ওভারে ৬২ রান তুলেছে প্রোটিয়ারা। এখানেই খরচাটা বেশি হয়ে গেছে বলে মনে করেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের মতে ১৫-রান বেশি চলে গেছে।

পুরস্কার বিতরণি অনুষ্ঠানে সাকিব বললেন, ‘আমার মনে হয় দক্ষিণ আফ্রিকা দারুণ ব্যাটিং করেছে, বিশেষ করে শেষ পাঁচ ওভারে। ওই পাঁচ ওভারই আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা ১৫-২০ রান বেশি দিয়েছি। কিছু বাজে ফিল্ডিংও আমাদের ভুগিয়েছে।’

Advertisement

দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৯৬ রানের ব্যাট করতে নেমে সৌম্যের ব্যাটে ভর করে ৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে বাংলাদেশ। তবে এই ভালো ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আশা জাগিয়েও জয় নিয়ে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ দিকে তরুণ সাইফউদ্দিনের ২৭ বলে হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংসটির কল্যাণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ গিয়ে থেমেছে ১৭৫ রানে। এছাড়া ব্যাটিংয়ে ৪৫টি ডট বল গেছে। সংখ্যাটা ৪৫ না হয়ে ২৫ হলেও ম্যাচ শেষে বিজয়ের হাসিটা থাকতো বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা দশ ওভারের পরও সঠিক পথে ছিলাম। তারা উইকেট নেয়া শুরু করার পরই চাপ বাড়তে থাকে। আমাদের কিছু ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। আমরা এটি নিয়ে কথা বলেছি (ডট বল প্রসঙ্গে), এটি আমাদের আসলেই পীড়া দিয়েছে। আমাদের উচিৎ ছিলো আক্রমণাত্মক এবং বিচক্ষণতার সাথে ব্যাটিং করা। আর মাত্র একটি ম্যাচ আছে। ওই ম্যাচে এ সব ভুল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ অক্টোবর সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

এমআর/পিআর

Advertisement