দক্ষিণ আফ্রিকা খেলতে গিয়ে রীতিমত বিপর্যস্ত বাংলাদেশ জাতীয় দল। টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজে শুধু হোয়াইটওয়াশই নয়, কোন প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি টাইগাররা। তবে সফরের শেষে টি-টোয়েন্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২০ রানে হারলেও কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। ফলে এই হারের পর দলের সবার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে, এমনটাই মনে করেন টাইগার ওপেনার সৌম্য সরকার।
Advertisement
দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৯৬ রানের ব্যাট করতে নেমে সৌম্যের ব্যাটে ভর করে ৯ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে বাংলাদেশ। তার বিদায়ের পরই ফিকে হতে শুরু করে জয়ের আশা। শেষ দিকে তরুণ সাইফউদ্দিনের ২৭ বলে হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংসটির কল্যাণে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ গিয়ে থেমেছে ১৭৫ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলোনে সৌম্য বলেন, ‘প্রায় ২০০'র কাছাকাছি রান করেছে ওরা। আমরাও ১৭৫ করেছি। অবশ্যই আমাদের সামর্থ্য আছে। মাঝে যদি একটা ব্যাটসম্যান ভালো করত, আমরা সহজেই জিতে যেতাম। এখান থেকে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে যে আমরা ২০০ করতে পারি।’
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি সৌম্য। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও তার ব্যাট কথা বলেনি। অবশেষে সৌম্য সরকার নিজেকে খুঁজে পেলেন ব্লুমফন্টেইনে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে। খেললেন ৪৭ রানের দারুণ ইনিংস। তার ব্যাটেই খানিকটা লড়াই করতে পারলো বাংলাদেশ।
Advertisement
নিজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে সৌম্য বলেন, নিজের ইনিংসটা যদি আরও লম্বা করতে পারতাম, দল যদি জিতত তখন এটা নিয়ে বলতে পারতাম। আমি শেষ করতে পারিনি, দল জেতেনি। ফলে ইনিংসের মূল্য নেই।
এদিকে সৌম্য ছাড়া মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়। তাদের কিছু ভুল শটে ম্যাচে পুরোপুরি বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে। সাকিব তিনে নেমে বোলারদের ব্যস্ত রাখতে চাইলেন সবগুলো বলকেই খেলার লোভ দেখিয়ে। মারমুখি হয়েও উঠেছিলেন। কিন্তু রবি ফ্রিলিঙ্কের একটি লুজ বল খেলার আর লোভ সামলাতে না পেরে আকাশে বল তুলে দিলেন। ফলশ্রুতিতে ক্যাচ। মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ আর সাব্বির রহমানরা আসলেন আর গেলেন। বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না কেউ।
এ নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘শেষ ১০ ওভারে মিডল অর্ডারের কেউ যদি বড় রান করতে পারত, তাহলে আমাদের জন্য সহজ হতো। তখন একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকত। অনেক কিছু হতে পারত।’
এ দিকে এই হারের পর প্রশ্ন জেগেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। চারজন পেসার খেলানোর যৌক্তিকতা কী? যেখানে ব্যাটিং উইকেট। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা পেসারদের ভালো খেলে, সেখানে কেন চার পেসার নিয়ে খেলার বিলাসিতা করতে হলো? আখেরে কী লাভ হলো চার পেসার খেলিয়ে?
Advertisement
এ নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘ম্যাচ হারের পর দলের অনেক নেগেটিভ দিক বের হয়। অনেকে বলবে আমাদের বোলাররা ভালো করেনি, আমরা একজন অতিরিক্ত বোলার নিয়ে খেলেছি, আমাদের আরও একজন ব্যাটসম্যান নেওয়া উচিত ছিল। তবে অধিনায়ক ও ম্যানেজমেন্ট দলের যেটা ভালো তাই করেছে।’
এমআর/এমএস