চট্টগ্রাম মহানগরীতে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে নির্দেশ দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। গত তিনদিনের টানা বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা ঠেকাতেই মেয়রের এ নির্দেশ। ঢাকা থেকে টেলিফোনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট নাগরিক দুর্ভোগের জন্য নগরবাসীর নিকট দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেয়র। বুধবার ঢাকা থেকে টেলিফোনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ ও পরিচ্ছন্ন বিভাগকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনে সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা দূর করার নির্দেশ দেন তিনি।মেয়র বলেন, প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানির কারণে নগরীর নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বৃষ্টিপাত কমে গেলে এবং সাগরে ভাটা দেখা দেয়ার সাথে সাথে যাতে নালা-নর্দমা ও খাল বিল থেকে পানি দ্রুত বেগে যেতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।কোথাও প্রতিবন্ধকতা দেখা গেলে তা দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। মেয়র প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, উপ সহকারী প্রকৌশলী, সড়ক পরিদর্শক এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা, তত্ত্বাবধায়ক, পরিদর্শক, সুপারভাইজার ও দলপতিদেরকে শ্রমিক ও সেবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যন্ত্রপাতি নিয়ে সার্বক্ষণিক এ কাজে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।তিনি প্রকৌশল সিভিল বিভাগকে প্রতিটি ওয়ার্ডের নালা-নর্দমা ও খালের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দিয়ে বলেন, নালা-নর্দমা প্রশস্থকরণ, গভীরকরণ, নালার স্লাব অপসারণ করে লোহার জালি বসানো, খাল-বিলের মাটি ও আবর্জনা অপসারণ করা প্রকৌশল সিভিলের দায়িত্ব।তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে প্রত্যেকেই যার যার দায়িত্ব ও কর্তব্য সুচারু রূপে সম্পাদন করবেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগে নিয়োজিতদের উদ্দেশ্য বলেন, নগরীর কোন অংশে কোন ধরণের ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে পারবে না। আবর্জনা দ্রুত অপসারণে সার্বক্ষণিকভাবে কর্মী ও গাড়ি নিয়োজিত রাখতে হবে।পবিত্র রমজানে দুর্গন্ধের কারণে রোজাদারদের মনে কোন ধরণের কষ্ট হলে তার দায়ভার থেকে কেউই রেহাই পাবেন না বলে সতর্ক করে দেন তিনি। সিটি মেয়র আশা করেন বর্ষা মৌসুমের পর শুষ্ক মৌসুমে খাল-খনন, নালা-নর্দমা প্রশস্থ ও গভীরকরণ কাজগুলো সম্পাদন করা হবে। এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement