খেলাধুলা

ইয়াসিরের সেঞ্চুরিতে আইরিশদের হোয়াইট ওয়াশ

ইয়াসির আলির হার না মানা ১০৩ রানের উপর ভর করে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলকে হোয়াইটওয়াশই করে দিলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। বিজয়-শান্তদের কাছে আইরিশরা সিরিজের শেষ ম্যাচে হেরেছে ৭৬ রানের ব্যবধানে। ফলে, ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করেই রাখলো টাইগাররা।

Advertisement

প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে হারায় আইরিশদের। তৃতীয় ম্যাচে টাইগারদের জয়টি ৮ উইকেটের ব্যবধানে। চতুর্থ ম্যাচটি ২০ ওভারে নির্ধারণ করা হয়। আইরিশদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় স্বাগতিকরা।

এক ম্যাচ হাতে রেখে আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেওয়া বাংলাদেশ ‘এ’ দল পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৮৬ রান। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে সফরকারিরা ৪৩.৪ ওভারে গুটিয়ে যাওয়ার আগে তোলে ২১০ রান।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ওপেনার এনামুল হক বিজয় ১২ বলে ১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তবে ফর্মে থাকা আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম খেলেন ৬৮ রানের দারুণ এক ইনিংস। তিন নম্বরে নামা বাংলাদেশের দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ২৬ রান।

Advertisement

চার নম্বরে ইয়াসির আলির ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ১০২ রান। ১০১ বলে ৮টি চার আর ৫টি ছক্কায় ইয়াসির তার দুর্দান্ত ইনিংসটি সাজিয়ে অপরাজিত থাকেন। আল আমিন করেন ২০ রান। ২৬ রানের ইনিংস খেলে তানভীর হায়দার বিদায় নেন। জাকির হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।

২৮৭ রানের কঠিন টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের কাছে অসহায় ছিল আইরিশরা। এরপরও ওপেনার টেকটর ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন। চার নম্বরে নামা অ্যান্ডারসনের ব্যাট থেকে আসে ৪৫ রান। ম্যাকার্থি খেলেন ২৭ রানের ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে আবু হায়দার রনি নেন সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন ইমরান আলি আর সাঞ্জামুল ইসলাম। একটি করে উইকেট পান তানভীর হায়দার আর মেহেদি হাসান।

এর আগে সিলেটে অনুষ্ঠিত একমাত্র আন-অফিসিয়াল টেস্টও (৪দিনের ম্যাচ, ১১-১৪ অক্টোবর) জিতেছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

Advertisement

এমএএন/আইএইচএস/এমএমআর/জেআইএম