ঢাকা মহানগরের মধ্যে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার দখলে থাকা ৫৮টি খাল ও জলাধারের ওপর সব ধরনের স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দখল হওয়া খালসমূহ পুনরুদ্ধারে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে।
Advertisement
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দখল হওয়া খালসমূহ পুনরুদ্ধারে কী কী পদক্ষেপে গ্রহণ করা হয়েছে, সে বিষয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসিকে) প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ঢাকার খালে ২৪৮ দখলদার’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমেলে নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
আদালতে এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকা দখল করা খালগুলো ব্যক্তি বা সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পুনরুদ্ধার করা কেন হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজউক চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিবাদীদেরএ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী আদেশের জন্য বিষয়টির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান আদালত।
‘ঢাকার খালে ২৪৮ দখলদার’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ঢাকা মহানগর এলাকায় ৫৮টি খাল চিহ্নিত করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ৩৭টি খালের অংশবিশেষ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (রাজউক) তিনটি সরকারি ও সাতটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল এবং ২৪৮ জন ব্যক্তি দখল করে নিয়েছে। ফলে খালগুলোর প্রবাহ আর স্বাভাবিক নেই।
Advertisement
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা জেলা প্রশাসনের চিহ্নিত করা খালগুলোর ওপর নির্মাণ ও দখলের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা জেলা প্রশাসকের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এফএইচ/আরএস/একে/জেআইএম