কলকাতায় ঘরের মাঠের মতই সমর্থন পেয়েছিল ব্রাজিল। সাম্বা নৃত্যে তাল মেলাতে গ্যালারিতে প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলেন দর্শকরা। তাদের সেই আশা পূরণ করতে পারল না হলুদ জার্সিধারিরা। বুধবার বিকেলের সোনা ঝরা রোদের আলোয় ব্রাজিলিয়ানদের মুখ অন্ধকার করে দিলো ইংল্যান্ড। রিহান ব্রিউস্টারের দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ব্রাজিলকে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত করে অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ইংলিশরা।
Advertisement
এক ব্রিউস্টারই শেষ করে দিলেন ব্রাজিলকে। হ্যাটট্রিক তো করলেনই, সুযোগ মিস না করলে আরও দুই একটা গোলও পেতে পারতেন ইংল্যান্ডের নতুন দিনের এই তারকা। তার সঙ্গে মাঝ মাঠ দাঁপিয়ে বেড়ালেন কালাম আর ফোডেন। যাদের সামনে হারিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিলের সাম্বা ছন্দ।
ম্যাচ শুরুর ১০ মিনিটের মধ্যেই গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন রিয়ান ব্রিউস্টার। বক্সের মধ্যে থেকেই গোলে শট নিয়েছিল রিয়ান। সেই বল কোনও রকমে বুক দিয়ে বাঁচিয়ে দেন ব্রাজিল গোলকিপার গ্যাব্রিয়েল ব্রাজাও। কিন্তু নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় ফিরতি বল পেয়ে সেটা জালে জড়িয়ে দেন ব্রিউস্টার।
শুরুতেই গোল করে মানসিক ভাবে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। পর পর আক্রমণে প্রথমার্ধের অনেকটা সময়ই ব্রাজিল রক্ষণকে ব্যস্তিব্যস্ত রাখে তারা। তবে এমন আক্রমণের মাঝেও ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান ওয়েসলি। পাওলিনহোর সঙ্গে ওয়ান টাচ খেলে দারুণ এক গোল করেন তিনি।
Advertisement
২৯ মিনিটে সেই আনন্দ আরও বাড়তে পারতো ব্রাজিলের, যদি না ব্রেনার নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করতেন! তার ঠিক দু’মিনিটের মধ্যেই ওয়েসলির গোলমুখী শট কোনও রকমে বাঁচিয়ে দেন ইংল্যান্ড গোলকিপার। এরপরই ব্রিউস্টারের দ্বিতীয় আক্রমণ। ৩৮ মিনিটে কালামের মাইনাস থেকে আবারও ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-১ গোলে।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে গিয়েছে। কিন্তু সেমিফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে সুযোগ মিসের মাসুল দিতে হয়েছে ব্রাজিলকে। এরই মাঝে ম্যাচের ৭৭ মিনিটে এসে আরও একবার লক্ষ্যভেদ করে বসেন ব্রিউস্টার। দুরন্ত শটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলেন তিনি, বিদায় নিশ্চিত করে দেন ব্রাজিলেরও।
এমএমআর/এমএস
Advertisement