‘নিয়োগ পরীক্ষার আগেই জনপ্রতি ১৫ লাখ টাকা করে জমা দেয়ার কথা বলেছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ। টাকা জমা না দেওয়া হলে প্রার্থীদেরকে সাক্ষাৎকার পত্র দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন। এতে মেধা ও যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
Advertisement
এমনই অভিযোগ করেছেন ওই মাদরাসায় আবেদনকারী আমির হোসেন, ফাতেমা বিলকিছ, আফরোজা খাতুন ও আক্কাস আলী। প্রার্থীরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে উল্লেখ করেন।
অভিযোগে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার আগদিঘলগ্রাম আলীম মাদরাসার একজন অফিস সহকারী নিয়োগের জন্য প্রায় দু’মাস আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। মোট ১৩ জন প্রার্থী এই পদে আবেদন করেছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের উদ্বৃতি দিয়ে প্রার্থীদের কাছে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই জনপ্রতি ১৫ লাখ টাকা করে মাদরাসায় জমা দেয়ার কথা বলেছেন মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর। বিষয়টি নিয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করে মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু জাফর জানান, প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত এই মাদরাসাটির অবকাঠামো ভালো নয়। ফলে তারা অফিস সহকারী পদে নিয়োগে টাকা নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত তার ব্যবস্থাপনা কমিটির অধিকাংশ সদস্যের। ফলে তিনি প্রার্থীদের কাছে টাকা চেয়েছেন।
Advertisement
এ বিষয়ে এই প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আজগর আলী, হাজী এবাদত আলী মন্ডল ও আবু শামার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, ইতোমধ্যে একজন প্রার্থীর নিকট থেকে অগ্রিম ৯ লাখ টাকা জমা নেওয়া হয়েছে।
প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে মাদরাসার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর সরকার জানান, টাকা নিয়ে নিয়োগদানের বিরুদ্ধে তিনি। এ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি আপত্তি জানিয়েছেন। তার আপত্তি সভায় অগ্রাহ্য হলে তিনি সভা ত্যাগ করেন। তবে তিনি প্রার্থীদের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি পরে শুনেছেন।
এ ব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সরকার জানান, আগদিঘলগ্রাম মাদরাসার অফিস সহকারী পদে নিয়োগে মোটা অংকের টাকা নেওয়ার মৌখিক অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। প্রার্থীরা লিখিতভাবে অভিযোগ করলে তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এফএ/আরআইপি
Advertisement