রাজধানী ঢাকায় বর্তমানে গাড়ী কেনা তুলনামূলকভাবে সহজ। কাকরাইল, তেজগাঁও, শান্তিনগর, মহাখালী ও গুলশানে অনেকগুলো গাড়ীর মার্কেট গড়ে উঠেছে। এসব মার্কেটে গাড়ীর দোকানগুলো আপনার কাছে শুধু গাড়ীই বিক্রি করবে না, গাড়ী কিনতে লোন নেয়ার ব্যাপারেও তথ্য দিয়ে আপনাকে সহায়তা করবে। আবার আপনার যদি নতুন বা রিকন্ডিশন্ড গাড়ী কেনার সামর্থ্য নাও থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছুটির দিনগুলোতে পুরনো গাড়ীর মেলা বসে; এখান থেকে তুলনামূলক অনেক কম দামে আপনি গাড়ী পেতে পারেন। গাড়ীর বাজার সম্পর্কে তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো:গাড়ির মার্কেটঢাকায় গাড়ীর সবচেয়ে বড় দু’টি বাজার হচ্ছে:১.তেজগাঁও গাড়ীর মার্কেট২.কাকরাইল গাড়ীর মার্কেটগাড়ি ক্রয়ের পদ্ধতি:গাড়ি ক্রয়ের জন্য গাড়ি ক্রেতা এবং গাড়ি বিক্রয়কারীর মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় গাড়ির মোট মূল্যের এক পঞ্চমাংশ মূ্ল্য পরিশোধ করতে হয়। অবশিষ্ট টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় পরিশোধ করতে হয়।মূল্য পরিশোধ পদ্ধতি:বায়নার সময় ক্রেতাকে গাড়ির মোট মূল্যের এক পঞ্চমাংশ মূ্ল্য পরিশোধ করতে হয়। অবশিষ্ট টাকা এক সপ্তাহের মধ্যে রেজিষ্ট্রেশন করার সময় পরিশোধ করতে হয়। নগদ, ক্যাশ চেক এবং এটিএম কার্ডে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে। বাকীতে গাড়ি বিক্রয় করা হয় না।ব্যাংক লোন:গাড়ির ক্রয়ের জন্য ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা রয়েছে। ব্যাংক লোনের জন্য গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ক্রেতার অর্থনৈতিক অবস্থার বিবরণ, টিন সার্টিফিকেট এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির খতিয়ান দাখিল করতে হয়। ব্র্যাক ব্যাংক, ইউসিবিএল, প্রাইম ব্যাংক সহ বেশ কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংক থেকে গাড়ি কেনার লোন পাওয়া যায়।গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন করার নিয়ম:বিআরটিএ অফিসে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশ ফর্ম পূরণ করে সঙ্গে টিন সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করে জমা দিলে অফিস নির্ধারিত গাড়ি রেজিষ্ট্রেশন কপি সংগ্রহ করতে হয়। একটি নির্দিষ্ট রেজিষ্ট্রেশন ফি পরিশোধ করতে হয়। রেজিষ্ট্রেশন ফি গাড়ির মূল্য এবং এর মাইলেজের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়।
Advertisement