প্রথমে বলা হয়েছিল বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের তৃতীয় ওয়ানডে পরিত্যক্ত। পরে সে সিদ্ধান্ত বাতিল করে আজ (মঙ্গলবার) রিজার্ভ ডেতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার হবার কথা জানানো হয়। আজ ঠিক সমই মাঠে গড়িয়েছে ম্যাচ। তবে কক্সবাজারের আবহাওয়া ভাল থাকলেও বাংলাদেশের আবু হায়দার রনির বোলিং ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় আইরিশরা। ফলে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
Advertisement
সকালে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তও নেয় আয়ারল্যান্ড দল। দলীয় ৯ রানের সময়ই পয়েন্টারকে বোকা বানিয়ে উইকেটরক্ষক সোহানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন আবু হায়দার রনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট যেতে থাকে আয়ারল্যান্ড দলের। তবে আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু ভালবিরনিয়ে ব্যক্তিগত হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তানবির হায়দারের বলে আউট হবার আগে ৯০ বলে তিনি করেন ৫২ রান।
ভালবিরনিয়ের ৫২ এর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেন গেটকেট। তিনি ৪৯ বল খেলে করেন ২৩ রান। এ দু'জন ছাড়া আয়ারল্যান্ডের আর কোন ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে ৩৫ ওভার ৪ বলে ১০৩ রানেই অল আউট হয়ে যায় আইরিশরা।
বাংলাদেশের হয়ে ৮ ওভার বল করে ২৯ রান দিয়ে ৩টি উইকেট পেয়েছে আবু হায়দার রনি। তার এই নিয়ন্ত্রীত বোলিংয়েই মূলত আইরিশদের পরাজয় নিশ্চিত হয়। আর ম্যাচ শেষে এমন অসাধারণ বোলিংয়ের ফলস্বরূপ পেয়েছেন ম্যাচসেরা পুরুস্কারও।
Advertisement
আবু হায়দার ছাড়াও উইকেটের দেখা পেয়েছে অন্য বোলাররাও। দুটি করে উইকেট পেয়েছে তানবীর হায়দার ও সাঞ্জামুল ইসলাম। আর একটি করে উইকেট পেয়েছে সুভাশিষ রায়, আবুল হাসান ও আল-আমিন।
১০৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখে শুনেই খেলছিলেন দুই ওপেনার। গড়েন ৩৩ রানের জুটি। তবে সেই জুটিতে ফাটল ধরান আইরিশ বোলার চাসে। এনামুল হককে সরাসরি বোল্ড করে ব্যক্তিগত ২০ রানে সাজঘরে ফেরান।
এরপর শান্তকে সাথে নিয়ে সাদমান গড়ে তোলে ৪৭ রানের একটি জুটি। তবে সাদমান শেষ পর্যন্ত থাকতে পারেনি। তার আগেই ব্যক্তিগত ২৪ রানে তিনি ডকরেলের শিকার হন। এরপ আল-আমিন আর শান্তকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়। শান্ত করে অপরাজিত ৪১ আর আল-আমিনও ১৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিল। শেষ বলে চার মেরে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের জয়ের জন্য লেগেছে মাত্র ২৩ ওভার।
এমএএন/আইএইচএস/আইআই
Advertisement