বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এর চেয়ে আর কঠিন কোনো সিরিজ ছিল কি না সন্দেহ। পুরোপুরি অপরিকল্পিত এবং প্রস্তুতিবিহীন একটি সিরিজ খেলতে যাওয়ার পর যা হওয়ার তাই হয়েছে। সবচেয়ে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচেই সাড়ে তিনশ’র বেশি রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করায় সে সুযোগ হয়নি তাদের। তবুও ২৭৮ রান টপকে গেছে তারা কোনো উইকেট না হারিয়েই।
Advertisement
এমন একটি হতাশাজনক ম্যাচ, সেখানে সাফল্য বলতে কিছুই নেই। না দলীয়, না ব্যাক্তিগত। পুরোপুরি বাজে একটি সিরিজ। সেই সিরিজেরই কিছু তথ্য সংখ্যা দিয়ে তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।
১৭ : বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে জয়। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৩টিতে।
৪ : ওয়ানডে ক্রিকেটে ২০০ বা তার চেয়েও বেশি মোট চারবার পরাজিত হয়েছে বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ২০০’র বেশি রানে হারল বাংলাদেশ।
Advertisement
১ : দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ২৬ ম্যাচ খেলে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
০ : রোববার ইস্ট লন্ডনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৬৯ রানই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি স্কোর আর নেই। ২০০৮ সালে বেনোনিতে করা ৩৫৮ রানের স্কোরই ছিল সর্বোচ্চ। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়ে ৩৩৩ রান করে তুলেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
৩৬৯ : বাংলাদেশের বিপক্ষে করা দক্ষিণ আফ্রিকার এই ইনিংসটি, ওয়ানডে ক্রিকেটে কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ রানের ইনিংসগুলোর মধ্যে এটা দ্বিতীয় অবস্থানে। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাই পাকিস্তানের বিপক্ষে করেছিল ৩৯২ রানের ইনিংস, কোনো সেঞ্চুরি ছাড়া।
৪ : চারজন ক্রিকেটার তাদের ওয়ানডে অভিষেকে হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে ২টি কিংবা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন। তার মধ্যে একজন এইডেন মার্করাম। বাংলাদেশের বিপক্ষে রোববার যার অভিষেক হয়েছিল। বাকি তিনজন হলেন শন পোলক, ডানকান ফ্লেচার, গ্যারি ক্রোকার।
Advertisement
১০০৪ : তিন ওয়ানডেতে বাংলাদেশ মোট রান হজম করেছে ১০০৪। তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রান হজম করার ঘটনা এটাই সর্বোচ্চ। শুধু তাই নয়, ১০০০ রানের বেশি এবারই প্রথম। এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ রান হজম করার ঘটনা ঘটেছে ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, ৮৬৩।
আইএইচএস/আইআই