জাতীয়

অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তে কমিটি গঠন

পুলিশের কোন কোন সদস্য ইয়াবা ও মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। এজন্য পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সকল ইউনিট প্রধানকে বার্তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর।বুধবার পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সিআইডি’র ডিআইজি সাইফুল হককে প্রধান করে ইয়াবার সাথে জড়িত পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।এছাড়া সাময়িক বরখাস্তকৃত এএসআই মাহফুজুর রহমানসহ সব সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ওই কমিটিকে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।বুধবার বিকেলে পুলিশ সদরদফতরের এআইজি (এমঅ্যান্ডপিআর) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বার্তায় আইজিপির বরাত দিয়ে বলা হয়, পুলিশ বিভাগ কোন অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় না। বরং নিজের ইউনিটের কেউ অপরাধে জড়ালে তাকে অপরাধী হিসেবেই গণ্য করা হয়। এক্ষেত্রে আমরা সব সময়ই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করি। কোন সদস্যের অপরাধের কারণে পুরোবাহিনীর ভাবমূর্তিকে জড়ানোর চেষ্টাও সমীচীন নয়। যারা ইয়াবাসহ অনুরূপ অপরাধে জড়িয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।ইয়াবা সংক্রান্ত অপরাধীদের সনাক্ত করতে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (পিআইও) কাজী জিয়া উদ্দিন, ডিসিপ্লিন এবং প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড শাখার সিনিয়র এএসপি আব্দুস সালাম এবং ফেনী জেলার এএসপি হেডকোয়ার্টার্স।এছাড়া মানবপাচার, মাদক এবং অন্যান্য চাঞ্চল্যকর ঘটনা তদন্ত এবং করণীয় নির্ধারণে স্পেশাল ব্রাঞ্চের অ্যাডিশনাল ডিআইজি তৌফিক মাহবুব চৌধুরীকে প্রধান করে অপর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটির সদস্য রয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল হায়দার এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের ডিসিপ্লিন এবং প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান।কমিটি কোনো পুলিশ সদস্য পেশাগত মান থেকে বিচ্যুত হচ্ছে কি না, বা অন্য কোনো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কি না, এ সংক্রান্ত সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করবে।জেইউ/এসএইচএস/আরআই/এসআরজে

Advertisement