অর্থনীতি

বন্দরের সক্ষমতা যাচাইয়ে সমীক্ষা করবে এনবিআর

দেশের বন্দরগুলোতে পণ্য খালাসের সক্ষমতা নিয়ে সমীক্ষা চালাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য এনবিআরের সদস্য খোন্দকার আমিনুর রহমানের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে এ সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে মার্চে শেষ হবে।

Advertisement

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, তিনমাসে দেশের সকল বন্দর থেকে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, ব্যবসা পরিচালনা খরচ কমিয়ে আনাসহ বন্দরগুলোতে আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা দিতে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিঙ্গাপুর, জাপান ও কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের বন্দরে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম সময় মালামাল খালাস হয়ে থাকে। ফলে ওই সব দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যয়ও তুলনামূলক কম হয়।

বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য আসার পর কাস্টমসসহ সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে গড়ে ১১ দিন ১৮ ঘণ্টা লাগে। অথচ বিশ্বের অনেকে দেশে খুব কম সময়ে এই মালামাল খালাস হয়ে থাকে।

Advertisement

সূত্র জানায়, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে চট্রগ্রাম কাস্টমস হাউস, রাজধানীর কমলাপুর আইসিডি ও বেনাপল কাস্টম হাউসের ওপর সমীক্ষা করেছিল বিশ্বব্যাংক। এরপর এ বিষয়ে কোনো সমীক্ষা করা হয়নি। এবার এনবিআর নিজেই সমীক্ষা চালাচ্ছে। এতে আগের তিনটিসহ দেশের সকল কাস্টম হাউস ও সক্রিয় শুল্ক বন্দরের ওপর সমীক্ষা করা হবে।

এনবিআর’র ঊর্ধ্বতম এক কর্মকর্তা জানান, পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বন্দরগুলোর প্রকৃত অবস্থা কী, তা জানতে এ সমীক্ষা করা হবে। বিশ্বের অনেক দেশ নিয়মিতভাবে বন্দরের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সমীক্ষা করে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। একই বিবেচনা মাথায় রেখে বাংলাদেশের বন্দরগুলোর ওপর সমীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এমএ/আরএস/জেআইএম

Advertisement