টানা তৃতীয়বারের মতো জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শিনজো আবে। রোববার দেশের আগাম সাধারণ নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ৪৬৫টি আসনের মধ্যে ৩১২টি আসনে জয় পেয়েছে আবে নেতৃত্বধীন ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও তাদের শরিক কুমেতো।
Advertisement
এর আগে ২০১২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন আবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিনজো আবেই দেশটিতে সর্বাধিকবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। রোববারের এই নির্বাচনের বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলেও আবের জোটই যে জয়লাভ করবে তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে শিনজো আবের দ্বিতীয় মেয়াদের সময় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই আগাম নির্বাচনের ডাক দেন তিনি।
আবের এই জয়ের ফলে জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সংস্কার পরিকল্পনা আবেনোমিক্স আগের মতোই পরিচালিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক ধস এবং দু’টি দুর্নীতি কেলেঙ্কারীর অভিযোগে আবে সরকারের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল।
কিন্তু উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে জনগণকে দেয়া আবের প্রতিশ্রুতি এবং বেশ কিছু কার্যক্রমের কারণে তার জনপ্রিয়তা আবার বাড়তে শুরু করে। পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমাগত হুমকির মুখে নিজের জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েই আগাম নির্বাচন ডেকে বসেন আবে।
Advertisement
দৃঢ়ভাবে উত্তর কোরিয়াকে দমন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন আবে। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের কাছে এটাই বড় চ্যালেঞ্জ। জাপানের জনগণের সুরক্ষা এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব ঐক্য গড়তে সর্বাধিক গুরুত্ব দেবে সরকার।’
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে, পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ ভোটে জয়ী হয়েছে শিনজো আবের ক্ষমতাসীন দল। এলডিপি থেকে বের হয়ে কিবো নো তো দল গঠন করেন টোকিওর প্রথম নারী গর্ভনর ইরিকো কইকে। নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগেই তিনি এই দল গঠন করেন। তার দল পেয়েছে ৫০টি আসন।
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ভালো করব, কিন্তু পারিনি। এটা সত্যিই আমাদের জন্য খুব কষ্টকর একটি দিন।’ তবে তিনি জনগণের রায় মেনে নিয়েছেন।
টিটিএন/পিআর
Advertisement