বাফেলো পার্কে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩১১ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২ বছর ওই রানই ছিল এ মাঠের সর্বোচ্চ। পুরনো রেকর্ড ভেঙে আজ নতুন রেকর্ড গড়ছে প্রোটিয়ারা। নতুন রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে ৩৭০ রানের টার্গেট দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
Advertisement
এ মাঠেরই সর্বোচ্চ নয়। বাংলাদেশের বিপক্ষেও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৮ সালে বেনোনিতে ৩৫৮ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ৯ বছর পর নতুন উচ্চতায় উঠল প্রোটিয়ারা। ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করেছে ফাফ ডু প্লেসির দল, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের দলীয় সর্বোচ্চ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ ৯১ রান করেছেন ডু প্লেসিস। তবে সেঞ্চুরির খুব কাছাকাছি এসে ফিরে যেতে হয় তাকে। কোমড়ে টান লাগায় মাঠ থেকে বেরিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক।
মাশরাফির বল মিড উইকেটে পাঠিয়ে ২ রান নিতে কল দেন ডু প্লেসি। প্রথম রান ভালোমতই নিয়েছিলেন, দ্বিতীয় রান নেয়ার সময় তার কোমড়ে টান পড়ে। রান পূর্ণ করলেও মাঠে থাকতে পারেননি।
Advertisement
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন ডি কক । তিনি ৬৮ বলে ৭৩ রান করেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন মার্করাম।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন ও মিরাজ দু'টি করে উইকেট নেন। রুবেল একটি উইকেট নেন। আর মার্করামকে রান আউট করেন ইমরুল কায়েস।
এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো ডি ভিলিয়ার্সের ঝড় সামলাতে হয়নি বাংলাদেশকে। মাশরাফি বিন মুর্তজার দুর্দান্ত ক্যাচে ডি ভিলিয়ার্স সাজঘরে ফিরেন ২০ রানে। ১৫ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করেন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।
রুবেল হোসেনের করা ফুলার লেন্থ বল লং অনে খেলতে চেয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু বল ব্যাটে মাঝে লেগে উপরে উঠে যায়। কয়েক ধাপ এগুনোর পর ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করেন মাশরাফি।
Advertisement
এর পর ৪৭তম ওভারে তাসকিন আহমেদ উইকেটে নতুন আসা মালদারকে ইয়োর্কার দিয়ে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে। ২ রানেই সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। তারই ওই ওভারের শেষ বলে ফেহলুকাও আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে।
সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের উপরই চড়াও হয়ে খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা। মিরাজের জোড়া আঘাতের পর দেখেশুনেই খেলে যাচ্ছিলেন ডু প্লেসিস-মার্করাম। গড়েছিলেন ১৫১ রানের জুটি। তবে ডু প্লেসিস ইনজুরি পরে সাজঘরে ফেরার অল্প সময়ের মধ্যেই ইমরুলের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে মার্করামও সাজঘরে ফেরেন।
অভিষেকে ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে আইডেন মার্করাম ফিরেছেন ৬৬ রানে। স্কয়ার লেগে বল পাঠিয়ে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন মার্করাম। ইমরুল কায়েসের থ্রো সরাসরি স্ট্যাম্প ভাঙে। ঝাঁপিয়ে উইকেট রক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পারেননি দীর্ঘদেহী মার্করাম।
এমএএন/এমএমআর/জেআইএম