ইলিশ সংরক্ষণে ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাতকরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাতের আঁধারে শরীয়তপুরে ইলিশ শিকার করেছে কিছু অসাধু জেলে।
Advertisement
তাদের প্রতিরোধ করতে মৎস্য বিভাগসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি ছিল শরীয়তপুর অংশের পদ্মা নদীতে। তবুও থেমে ছিল না ইলিশ শিকার।
মৎস্য বিভাগের অভিযানসহ ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জেলায় এই ২২ দিনে অন্তত ৫০০ জেলেকে আটক করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য অফিসের মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের জানান, ১ অক্টোবর থেকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার পর থেকে শরীয়তপুর জেলায় ৫০০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯৭ জেলেকে কারাদণ্ড, আর ১০৩ জেলেকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৫ লাখ ৪ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩০ মিটার জাল ও ৮ হাজার ২২৬ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানা ও গরিবদের মাঝে বিতরণ এবং জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
Advertisement
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুস সালাম বলেন, ইলিশ শিকার বন্ধ রাখতে মৎস্য বিভাগ প্রতিনিয়িত অভিযান চালিয়েছে। তারপরও কিছু অসাধু জেলে রাতের আঁধারে ইলিশ শিকারের চেষ্টা করছে। অভিযান চালিয়ে ৫০০ জেলেকে আটক করা হয়। এবার আইন অমান্যকারীদের জরিমানার চেয়ে কারাদাণ্ড দেয়ার বিষয়েই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
মো. ছগির হোসেন/এফএ/আইআই