তিন ধরনের রাসায়নিক কীটনাশকের কারণে মানবদেহে ক্যান্সার হচ্ছে। লিনডেন (Lindane) নামক কীটনাশক ব্যবহারে মানবদেহে নন হডজকিন লিম্ফোমা (এনএইচএল) নামক ক্যান্সার হওয়ার নিশ্চিত তথ্য পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষিকাজে জড়িতরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়া ডিটিটি ও ২, ৪-ডি নামক আরও দুই ধরনের কীটনাশকও ক্যান্সারের ‘সম্ভবত কারণ’ বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। আমেরিকা, কানাডা, চীন ও ভারতে লিনডেন চর্মরোগ ও উকুন মারার ওষুধের উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সী ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি)’ মঙ্গলবার ফ্রান্স থেকে এ সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইটে এ খবরটি শীর্ষ খবর হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে। ১৩টি দেশের ২৬জন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ সম্প্রতি ক্যান্সার সংক্রান্ত সকল গবেষণা প্রবন্ধ পুঙ্খানুপুঙ্খনভাবে পর্যালোচনার পর এ রিভিউ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।এদিকে লন্ডনভিত্তিক মেডিকেল জার্নাল ‘ল্যানচেট’ সূত্রে জানা গেছে বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার মহামারি রোগ হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে! গত ২৩ বছরে বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২৫লাখ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বে প্রতি ৭টি মৃত্যুর ১টি ক্যান্সার বা ক্যান্সারের সাথে জড়িত কোন রোগের কারণে হচ্ছে। সর্বশেষ বিশ্ব রোগব্যাধির বোঝা শীর্ষক জরীপে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছে ল্যানচেট।জাতীয় ক্যান্সার ইনষ্টিটিউটের ইপিডিমিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা.হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন জানান, বাংলাদেশেও ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও দেশে ১৩ থেকে ১৫ লাখ ক্যান্সারের রোগী রয়েছে বলে ধারনা করা হয়। প্রতি বছর ২ লাখ নতুন রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। পুরুষদের মধ্যে লাং ও লিপ-ওরাল ক্যান্সার (শতকরা ১৩.১ ও ১১.৯ ভাগ) এবং মেয়েদের মধ্যে স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সার (শতকরা ৩২.৮ ও ২৬.১ভাগ) বেশী হচ্ছে। নন হডজাকন লিম্ফোমা (এনএইচএল) নামক ক্যান্সারে পুরুষ ও মহিলাদের আক্রান্তের শতকরা হার ৪.৯ ও ১.৩ ভাগ। এমইউ/এআরএস/পিআর
Advertisement