বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের মাত্র তিন বছরের মাথায় ইসলামি ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলেন। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
Advertisement
শনিবার দুপুরে যশোর জিলা স্কুলে খুলনা বিভাগীয় আরবি ভাষা ও ইসলামী জ্ঞান প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের লোক বোমা ফাটালে বা সন্ত্রাস করলে শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখ করা হয়। আর মুসলমান ধর্মের লোক সন্ত্রাস করলে বলা হয় ইসলামী সন্ত্রাস। মুসলমানদের বেলায় ধর্ম টানা হয়। অন্য ধর্মের লোকের বেলায় তা করা হয় না। অথচ ইসলাম শান্তির ধর্ম। এখানে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। তাই ধর্ম না টেনে সব সন্ত্রাসকে শুধু সন্ত্রাস বলাই উত্তম।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম ছায়েফ উল্যা।
Advertisement
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ফাহাদ আহমেদ মোমতাজীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রতিযোগিতার সমন্বয় উপাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিভাগীয় আরবি ভাষা ও ইসলামী জ্ঞান প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নেয়া ২৩ প্রতিযোগীর মধ্যে ৮ জন ইয়েস কার্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারা জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। প্রধান অতিথির হাত থেকে তারা ইয়েস কার্ড, ক্রেস্ট ও সনদপত্র গ্রহণ করেন।
ইয়েস কার্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মাগুরা সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী আলকামা, ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার ছাত্র ফাইজুল্লাহ, বাগেরহাট আমতলী ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী আসলাম হোসাইন, যশোরের ঝিকরগাছা দারুল উলুম মাদরাসার শিক্ষার্থী বেলাল হুসাইন, যশোরের পুরাতন কসবা দারুল উলুম মাদরাসার ছাত্র মো. আব্দুল্লাহ, সাতক্ষীরা আলিয়া কামিল মাদরাসার শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, যশোর আমিনিয়া কামিল মাদরাসার মাসউদুর রহমান ও সাতক্ষীরার হজরত আবু বক্কর সিদ্দিক মাদরাসার আহম্মদ বিন হাবিব।
মিলন রহমান/এমআরএম/এএম
Advertisement