আন্তর্জাতিক

আনান কমিশনের সুপারিশেই আস্থা জাতিসংঘের

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে পুনরায় মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সম্প্রতি মিয়ানমারে পাঁচদিনের সফরকালে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জেফরি ফেল্টম্যান ওই আহ্বান জানান।

Advertisement

রাখাইনের সহিংসতা বন্ধ, পরিস্থিতির উন্নতি ও মানবিক সহায়তায় কিছু দিক নির্দেশনা দেয়া হয় কফি আনান কমিশনের সুপারিশে। নাগরিকত্ব যাচাই-বাছাই, উদ্বাস্তুদের আশ্রয় শিবিরে স্থান দেয়া, সীমান্ত নিরাপত্তাসহ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সংলাপ এবং তাদের দীনতা দূরীকরণের সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশ এখনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভালো দিক-নির্দেশনা হতে পারে বলেও মনে করেন ফেল্টম্যান।

এ ব্যাপারে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান জানান, রাখাইনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সমাধান মিয়ানমারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। দেশের অন্যান্য সমস্যায় তারা মনোযোগ দিতে পারবে এই সঙ্কট সমাধানের পরই। তাতে অনেক সময় প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে যেন কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হয়।

Advertisement

সু চির সরকারও সেই সুপারিশ মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের পর নিজেদের নাগরিককে ফিরিয়ে নেয়ার কথা বলছে দেশটি। তবে সেই প্রক্রিয়াও অনেক জটিল।

তবে মিয়ানমারে জাতিসংঘ প্রতিনিধির পাঁচদিনের সফরে আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ব্যাপারে তেমন কোনো আশা দেখা যায়নি। সেই হিসেবে সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হলেও তা কতোটা কাজে দেবে, সেটা বিশ্লেষণযোগ্য।

অথচ গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার হিসাবমতে এখন পর্যন্ত প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনাকে পাঠ্যপুস্তকে উল্লিখিত গণহত্যার উদাহরণের সঙ্গে তুলনা করেছে জাতিসংঘ। তার পরেও প্রতিদিন রোহিঙ্গা শরণার্থী আসছে বাংলাদেশের পথে।

Advertisement

সূত্র : ইরাবতি

কেএ/আইআই