আট দিন তিনি বাড়ি ফেরেননি। বাড়ির লোক চিন্তায় পড়েছিল- বাঘের পেটে গিয়েছেন, খুন হয়েছেন, না জলদস্যুর কবলে পড়েছেন।
Advertisement
গল্পটা হলো ভারতের অমল মণ্ডল নামে এক জেলের। কয়েকদিন আগে আরও চারজনের সঙ্গে সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন অমল।
মাছ ধরতে যাওয়ার ছয়দিন পর অমলের সঙ্গীরা ফিরে এলেও অমল আসছিলেন না। আবার অমল আসলে কোথায় গেলেন তারও কোনো সদুত্তর মিলছিল না।
অমলের সঙ্গীতের ভাষ্য, সুন্দরবনের ৮ নম্বর চিমটার জঙ্গলে গিয়েছিলেন তারা। রাতে খাঁড়িতে নোঙর করেন। সকালে উঠে দেখেন, অমল নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পর ফিরে আসেন তারা।
Advertisement
অমল ফিরে আসার পর জানা গেল মাঝখানের আট দিন তিনি গাছে কাটিয়েছেন।
পুলিশ বলছে, জঙ্গলের ভিতরে গাছের উপর থেকে একজনকে চিৎকার করতে দেখে বনকর্মীরা পাড়ে নৌকা আনেন। এরপর তারাই অমলকে উদ্ধার করেন।
অমল জানান, রাতে খাবার খেয়ে তারা সবাই ঘুমিয়েছিলেন। সকালে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন তিনি জঙ্গলের ভেতরে ঘুমিয়ে আছেন। সারা শরীরে কাদা।
তিনি বলেন, ‘বিপদের মধ্যে মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম। বুঝেছিলাম, যেকোনো সময়ে বাঘের পেটে যেতে পারি। তাই সামনে একটা লম্বা মতো পাকাপোক্ত গর্জন গাছ দেখে চড়ে বসি। আট দিন ওই গাছের ফল খেয়েছিলাম। নদীর নোনা জল মুখে তোলা না গেলেও বাধ্য হয়ে তা-ই খেয়েছি।’
Advertisement
ঘুমের ঘোরে যাতে গাছ থেকে পড়ে না যান সেজন্য গামছা দিয়ে নিজেকে শক্ত করে বেঁধে রেখেছিলেন অমল।
এনএফ/এমএস