দেশজুড়ে

সুন্দরবন ভ্রমণে নীতিমালা আসছে

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণ ও বনের ওপর নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য ‘সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা’ করছে সরকার।খসড়া ভ্রমণ নীতিমালায় বলা হয়েছে, দিনে একটি লঞ্চে সর্বোচ্চ ১৫০ ও রাতে ৭৫ জনের বেশি ভ্রমণ করতে পারবেন না। সুন্দরবন ভ্রমণে বাধ্যতামূলকভাবে সঙ্গে নিতে হবে গাইড। ফিটনেসবিহীন কোনো লঞ্চ সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবে না।পরিবেশ ও বন সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এ বিষয়ে বলেন, সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের বেশকিছু উদ্যোগ আছে। ভ্রমণ নীতিমালা সেই উদ্যোগেরই একটি অংশ। ভ্রমণ নীতিমালাটি প্রক্রিয়াধীন আছে। শিগগিরিই নীতিমালাটি চূড়ান্ত করে বাস্তবায়ন করা হবে।পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, আগামী ২ জুলাই এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সুন্দরবন ভ্রমণ নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সুন্দরবনে পর্যটকদের ভ্রমণ করায় সুন্দরবনের পরিবেশ হুমকির মুখে পড়ছে। শত শত মানুষের পদচারণা ও শব্দে আতঙ্কিত প্রাণীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পর্যটকবাহী জলযান থেকে নির্গত তেল-বর্জ্যে সুন্দরবনের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য নীতিমালাটি প্রণয়ন করা হয়েছে।খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সুন্দরবন ভ্রমণে ব্যবহৃত লঞ্চের সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর কর্তৃক হালনাগাদ ফিটনেস সনদপত্র থাকা সাপেক্ষে প্রতিটি লঞ্চে দিনে সর্বোচ্চ ১৫০ জন ও রাতে ৭৫ জন পর্যটক ভ্রমণ করতে পারবেন। সর্বোচ্চ ৫০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘ্যের জলযান সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমিত পাবে। সুনির্দিষ্ট অনুমোদিত স্থানে জলযান নোঙর করা বা ভেড়াতে হবে। যেখান সেখান দিয়ে পর্যটকবাহী জলযান সুন্দরবনে প্রবেশও করতে পারবে না। নির্ধারণ করে দেওয়া হবে রুট। পর্যটকরা যত্রতত্র ঘোরাফেরা করতে পারবেন না।খসড়া নীতিমালায় পর্যটকদের সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত ট্যুর গাইড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটকবাহী জলযানের ন্যূনতম একজন করে প্রশিক্ষিত ট্যুর গাইড এবং ৫০ জনের অধিক পর্যটকের জন্য ন্যূনতম দুজন প্রশিক্ষিত ট্যুর গাইড থাকতে হবে।পর্যটকদের ব্যবহৃত যে কোনো পরিবেশ দূষণকারী দ্রব্য যেমন- পলিথিন, প্লাস্টিক, কৌটা ইত্যাদি বা খাবারের উচ্ছিষ্ট নদীতে ফেলা যাবে না। এ জন্য জলযানেই বর্জ্য রাখার ব্যবস্থা থাকতে হবে বলেও নীতিমালায় বলা হয়েছে।

Advertisement