রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক হাদিসে বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ অসুস্থ হয়ে যায়; তাকে দেখতে যাওয়া; তার সেবা-যত্ন করা মুসলমানের হক হয়ে যায়। তিনি অসুস্থ ব্যক্তি সেবা যত্ন করতে এবং অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করার তাগিদ দিয়েছেন।
Advertisement
হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী অসুস্থ ব্যক্তির খোঁজ খবর নেয়া, সেবা-যত্ন করা এবং তার জন্য দোয়া করাও ইবাদত হিসেবে পরিগণিত। কারণ রোগ-ব্যাধির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুমিন ব্যক্তির গোনাহ মাফ করে দেন। তাঁর মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।
হজরত ছাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো মুসলমান যখন তার অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়, তখন সে ফিরে আসা পর্যন্ত জান্নাতের ফল বাগানে বিচরণ করতে থাকে।’ (মুসলিম, মিশকাত)
অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-যত্ন সম্পর্কে কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর আদালতে মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-যত্নকে স্বয়ং আল্লাহর সেবা-যত্নের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
Advertisement
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন মানুষকে ডেকে বলবেন- হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, তখন তুমি আমাকে দেখতে (সেবা-যত্ন করতে) আসনি।
মানুষ বলবে- হে রব! আপনি রাব্বুল আলামিন, আমি কিভাবে আপনার সেবা করব? আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জানতে পারনি যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ ছিল; কিন্তু তখন তুমি তাকে দেখতে যাওনি।তুমি কি জানতে না যে, যদি তুমি তাকে (অসুস্থ ব্যক্তিকে) দেখতে যেতে (সেবা-যত্ন করতে) তাহলে সেখানে আমার দেখা পেতে? (মুসলিম, মিশকাত)
উল্লেখিত হাদিসে প্রতীয়মান হয় যে, ‘অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-যত্ন করা, খোঁজ-খবর নেয়া, অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া করা অনেক বড় ইবাদত। শুধু ইবাদতই নয় বরং অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-যত্ন করা মনে সরাসরি আল্লাহ তাআলার সেবা-যত্নের শামিল এবং পরকালের নাজাতের উপায়ও বটে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। প্রত্যেক মুসলমানকে ব্যক্তি পরিবার প্রতিবেশি ও সমাজের অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এবং তাদের সেবা যত্ন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/পিআর