এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতি-গতি বোঝা কঠিন। কখনো তিনি অধিনায়ক থাকতে চাচ্ছেন, কখনও আবার না। কখনো দেখা যাচ্ছে উইকেটকিপিংয়ে, কখনো মাঠের ফিল্ডিংয়ে। কখনো ইঙ্গিত দিচ্ছেন, নিশ্চিত নন কতদিন খেলবেন; কখনো আবার বলছেন, যতদিন সম্ভব খেলে যেতে চান।
Advertisement
তবে বাইরে যা কিছুই হোক, মাঠে গেলে সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব হাওয়া। তার দৃষ্টি তখন শুধু একদিকেই-রান, রান আর রান। দলের জন্য, নিজের জন্য, ভক্ত-সমর্থকদের জন্য; এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটে রানের ফুলঝুরি ছোটা চাই-ই চাই।
তবে ঝামেলা একটাই, ইনজুরি। ২০১৬ সালের জানুয়ারির পর থেকে চোটের সঙ্গে ডি ভিলিয়ার্সের লড়াইটা চলছেই। কখনও অনিশ্চয়তা তার দক্ষিণ আফ্রিকা দলে খেলা নিয়ে, কখনও বা নিজের সেরাটা দেয়া নিয়ে। এসব কিছুর সঙ্গে চলতে চলতে গত জুনে টেস্ট থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা এই ব্যাটসম্যান। মনে হচ্ছিল, সাদা পোশাককে বিদায়ও বলে দেবেন।
তবে বিরতি কাটিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সীমিত ওভারে রাজার বেশে ফিরেছেন, এবার টেস্টে ফেরারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। যদিও চাইলেই এখন টেস্ট দলে ঢুকে যেতে পারবেন, এমন মনে করছেন না তিনি, ‘যদি আমি সুযোগ পাই, তবে খেলব। দলে ঢুকে যাব, এটা বলতে পারি না। অনেক দিন বাইরে ছিলাম, যারা এসেছে তারাও তো ভালো করছে।’
Advertisement
টেস্ট দলে ঢোকার জন্য বরং প্রস্তুতি নেয়া শুরু করছেন, এমনটাই জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই ব্যাটসম্যান। তিনি বলেন, ‘জায়গা ফিরে পেতে আমাকে কাজ করতে হবে। কঠিন পরিশ্রম করার প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি।’
দলে যিনি অটোমেটিক চয়েজ, তার মুখে এমন কথা শুনলে তো একটু অবাক হতে হয়। তবে বড় খেলোয়াড়দের চিন্তা ভাবনাগুলোও সবসময় বড়ই হয়।
এমএমআর/জেআইএম
Advertisement