যাদের হাতে অনেক ক্ষমতা তাদের মুখে হাসি কম থাকে। ক্ষমতাধরদের সম্পর্কে মানুষের প্রচলিত ধারণা এমনটাই। তবে সেরকম পরিস্থিতি উদ্রেক হলে কী ক্ষমতাধর, কী ক্ষমতাহীন সবার মুখেই হাসি ফোটে।
Advertisement
বিশ্ব রাজনীতি, যুদ্ধ, বাণিজ্য এসবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম। সেই পুতিনের মুখে হাসি ক’বারই বা দেখেছে মানুষ। তাও আবার এমন হাসি যে হাসি থামতেই চাইছিল না।
গেল সপ্তাহে রাশিয়ার কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে মন্ত্রীর এক কথায় পুতিনের মুখে এমন হাসিই ফোটে যে তা বন্ধ হচ্ছিল না।
কারণ, ওই মন্ত্রী বুদ্ধি দিয়েছিল মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় শূকর রফতানি করতে পারে রাশিয়া। আর এ কথাই শুনেই হাসতে শুরু করেন ভ্লাদিমির পুতিন।
Advertisement
ওই বৈঠক রুশ মন্ত্রী আলেক্সান্দার তকাচোভ তার দেশের রফতানি বাণিজ্যকে জার্মানির রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে তুলনা করেন এবং রফতানি আরও বৃদ্ধিতে কী করা যায় সে বিষয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেন তিনি।
ওই বৈঠকের একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তকাচোভ বলছেন, জার্মানি তাদের দেশে উৎপাদিত মোট শূকরের অর্ধেকটাই রফতানি করে ফেলে। বছরে সাড়ে ৫০ লাখের বেশি শূকর উৎপাদিত হয় জার্মানিতে। আর এর মধ্যে ত্রিশ লাখের মতো তারা চীন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশে রফতানি করে।
মন্ত্রীর মুখে এ কথা শুনে মুখে চেপে হাসি শুরু করেন পুতিন। তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া মুসলিম দেশ। তারা শূকরের মাংস খায় না।
এরপর তকাচোভ বলেন, ওরা খায়। পুতিন বলেন, না । এরপরই তিনি হাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাসতে শুরু করেন।
Advertisement
পরে অবশ্য মন্ত্রী তার বক্তব্য পরিষ্কার করেন। তিনি আসলে ইন্দোনেশিয়া নয় দক্ষিণ কোরিয়ার কথা বোঝাতে চেয়েছিলেন।
এনএফ/আরআইপি