ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনায় ডেঙ্গু কার্যত মহামারি আকার ধারণ করার পর থেকেই সন্দেহ ছিল ডেঙ্গুর চার ধরনের ভাইরাসের প্রজাতির মধ্যে এবার ডেঙ্গু-২ এর প্রকোপ বেশি সেখানে; যেটি তুলনায় একটু বেশি আক্রমণাত্মক।
Advertisement
অবশেষে সেই সন্দেহই সত্যি হলো। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড অ্যান্টেরিক ডিজিজেসও (নাইসেড) এখন সেই কথাই বলছে।
উত্তর ২৪ পরগনার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আগে থেকেই বলছিলেন, এবার উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান, নদিয়ায় ডেঙ্গু-২ এর প্রকোপ বেশি।
এরপর ওই জেলাগুলোর বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আসা ডেঙ্গু রোগীদের রক্তের নমুনা থেকে ১০০০টি নমুনা নিয়ে (পিসিআর) নাইসেডে ‘পলিমেরাস চেন রিঅ্যাকশন’ পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর।
Advertisement
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী বলছেন, ‘নাইসেড থেকে পাওয়া অন্তর্বর্তী রিপোর্টে জানা গেছে, ৬৫ শতাংশের বেশি নমুনায় ডেঙ্গু-২ ভাইরাস মিলেছে। এটি তুলনায় একটু বেশি আক্রমণাত্মক।
আর নাইসেডের কর্মকর্তা শান্তা দত্ত বলছেন, এ ভাবে ৬০ শতাংশের বেশি রোগীর দেহে ডেঙ্গ-২ আগে মেলেনি।
কেন ডেঙ্গু-২ এর প্রকোপ শান্তা দত্তের ব্যাখ্যা, ‘একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এক বা দু’ধরনের ভাইরাস কয়েক বছর ধরে বেশি পাওয়া গেলে ক্রমশ মানুষের শরীরে সেই ভাইরাসের প্রতি প্রতিরোধ তৈরি হয়। সেটাই সম্ভবত ডেঙ্গু-১ এবং ডেঙ্গ-৩ এর ক্ষেত্রে হয়েছে। ওই ভাইরাস এই অঞ্চলের মানুষের দেহে ঢুকে কোষবৃদ্ধি করতে পারছে না, যেটা ডেঙ্গু-২ পারছে।’
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এক বার যাদের ডেঙ্গু হয়েছে, তাদের যদি দ্বিতীয় বার ডেঙ্গ-২ ভাইরাসের মাধ্যমে সংক্রমণ হয়, তা হলে রোগের প্রাবল্য বহু গুণ বেড়ে যাবে। শরীরে রক্তক্ষরণের আশঙ্কাও এতে বেশি।
Advertisement
এনএফ/আরআইপি