দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের কাছে 'অপয়া' হয়েই রইল। টেস্টে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর তিন ম্যাচ সিরিজের ওয়ানডেও হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশেকে ১০৪ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
Advertisement
৩৫৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন তামিম-ইমরুল। গড়েছিলেন ৪৪ রানের একটি জুটি। তবে নিজে ২৩ রান করেই ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। এরপর ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন লিটনও। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড় সমান রান টপকে যাবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ইমরুল ও মুশফিকুর রহীম।
ইমরুল তার ক্যারিয়ারের ১৪তম হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন। এরপর ৬১ বলে মুশফিকও তার ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার পরের বলেই ইমরান তাহিরের বলে এক্সট্রা কাভারে ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মনে হচ্ছিল যেন, তিনি মাঠে থেকেই মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি দেখার জন্যই ছিলেন!
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব আল হাসানও। মাত্র ৫ রান করে ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। ইমরুল-সাকিবে ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে দ্রুতই ফিরেছেন।
Advertisement
এরপর ফিরেছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহীম। ৬০ রান করে প্রেটোরিয়াসের বলে শর্ট আউটসাইড অফে ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন টেস্ট অধিনায়ক।
বাংলাদেশের পক্ষে আর কেউ উল্লেখযোগ্য কোনো রান করতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ফেলুকাও নিয়েছেন ৪ উইকেট আর ইমরান তাহেরর পেয়েছেন তিনটি উইকেট।
এর আগে ভিলিয়ার্সের ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের ওপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশকে। ভিলিয়ার্সের দিনে ইনিংসের শেষ ওভারে রুবেল হোসেন অবশ্য পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভবনা তৈরি করেছিলেন। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে জেপি ডুমিনি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে ফেরান। তবে শেষ বলটি দারুণ করলেও হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন পূরণ হয়নি এই গতিতারকার।
ডি ভিলিয়ার্স ছাড়াও ৮৫ রানের ঝড়ো একটি ইনিংস খেলেছেন হাশিম আমলা। আর ডি কক খেলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস।
Advertisement
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন। ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মাশরাফি ১০ ওভার বল করে ৮২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। তাসকিন আহমেদও ৯ ওভার বল করে ৭১ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি।
এমএএন/এমএমআর/বিএ