আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আবার পেছানো হয়েছে। বুধবার দুই পক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে আদালত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব আসামির উপস্থিতিতে ২২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।একই সঙ্গে বিচারক আদালতের ভাবমূর্তি রক্ষায় পরবর্তীতে এ মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত আইনজীবীদেরই শুধু আদালতে উপস্থিত থাকতে বলেছেন।জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে মামলার বিচারকাজ শুরু হলে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণে খালেদা জিয়া আজ আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তাই তাঁর পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। একই সঙ্গে আরেকটি আবেদন করে মামলার কার্যক্রম মুলতবির আরজি জানানো হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে আদালত খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির আবেদন মঞ্জুর করে সাক্ষ্য গ্রহণের নির্দেশ দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হইচই ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন। বেলা দেড়টার দিকে বিচারক আবারও এজলাসে আসেন। এ সময় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য একে অপরকে দায়ী করেন।পরে আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, এই মামলা দুটির কার্যক্রম মুলতবি করা হচ্ছে। পরবর্তী দিনে মামলা পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনজীবীরাই শুধু উপস্থিত থাকতে পারবেন।খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদিন, মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ইকবাল হোসেন, হাসান আলী খান প্রমুখ।আর দুদকের পক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন, কবীর হোসেন, মো.আশরাফুল হক প্রমুখ।
Advertisement