খেলাধুলা

ইমরুল-সাকিবের পর মুশফিকেরও বিদায়

ইমরুল-সাকিব ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে দ্রুতই ফিরেছেন। এরপর ফিরেছেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহীম। ৬০ রান করে প্রেটোরিয়াসের বলে শর্ট আউটসাইড অফে ডুমিনির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক।

Advertisement

উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে এসেছেন সাব্বির রহমান। তিনি ৮ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১১ রানে অপরাজিত আছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮ ওভারে ৫ উইকেটে ২০২ রান।

এর আগে দুই ওপেনার ভাল শুরু করলেও, দ্রুতই ফিরেন তামিম ইকবাল। তারপর উইকেটে আসা লিটন দাসও বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি ইমরুল কায়েসকে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড় সমান রান টপকে যাবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ইমরুল ও মুশফিক।

ইমরুল তার ক্যারিয়ারের চৌদ্দতম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। এরপর ৬১ বলে মুশফিকও তার ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার পরের বলেই ইমরান তাহিরের বলে এক্সট্রা কাভারে ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ইমরুল। মনে হচ্ছিল যেন, তিনি মাঠে থেকেই মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি দেখার জন্যই ছিলেন!

Advertisement

এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নি সাকিব আল হাসানও। মাত্র ৫ রান করে ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

ইনিংসের শুরুতে ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে দেখেশুনে ভালই খেলে যাচ্ছিলেন তামিম। করেছিলেন ৪৪ রানের একটি জুটি। তবে নিজে ২৩ রান করেই ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। এরপর ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন লিটনও।

ইনিংসের অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে প্রেটোরিয়াসের বলে বোকা হয়ে এলবির ফাঁদে পরেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। রিভিউ না নিয়ে সোজা সাজঘরের পথ ধরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর ফেহলুকাওয়ের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন লিটন। রিভিউ নিলেও কাজ হয়নি।

এর আগে ভিলিয়ার্সের ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশকে।

Advertisement

এমএএন/এমএমআর/এমএস