দুই ওপেনার ভাল শুরু করলেও, দ্রুতই ফিরেছেন তামিম ইকবাল। তারপর উইকেটে আসা লিটন দাসও বেশি সময় সঙ্গ দিতে পারেননি ইমরুল কায়েসকে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার পাহাড় সমান রান টপকে যাবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন ইমরুল ও মুশফিকুর রহিম।
Advertisement
ইমরুল তার ক্যারীয়ারের চৌদ্দতম হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন। এরপর ৬১ বলে মুশফিকও তার ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণো করেন। মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার পরের বলেই ইমরান তাহিরের বলে এক্সট্রা কাভারে ভিলিয়ার্সের হাতে ক্যাচ তুলে ৬৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মনে হচ্ছিল যেন, তিনি মাঠে থেকেই মুশফিকের হাফসেঞ্চুরি দেখার জন্যই ছিলেন!
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেন নি সাকিব আল হাসানও। মাত্র ৫ রান করে ইমরান তাহিরের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
মুশফিকুর রহিম ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭১ রান।
Advertisement
এর আগে ইমরুল কায়েসকে সাথে নিয়ে দেখেশুনে ভালই খেলে যাচ্ছিলেন তামিম। করেছিলেন ৪৪ রানের একটি জুটি। তবে নিজে ২৩ রান করেই ফিরতে হয়েছে সাজঘরে। এরপর ১৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন লিটনও।
ইনিংসের অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে প্রেটোরিয়াসের বলে বোকা হয়ে এলবির ফাঁদে পরেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। রিভিউ না নিয়ে সোজা সাজঘরের পথ ধরেন দেশসেরা এই ওপেনার। এরপর ফেহলুকাওয়ের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন লিটন। রিভিউ নিলেও কাজ হয়নি।
এর আগে ভিলিয়ার্সের ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫৪ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশকে।
ভিলিয়ার্সের দিনে ইনিংসের শেষ ওভারে রুবেল হোসেন অবশ্য পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভবনা তৈরি করেছিলেন। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে জেপি ডুমিনি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে ফেরান। তবে শেষ বলটি দারুণ করলেও হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন পূরণ হয়নি এই গতিতারকার।
Advertisement
ডি ভিলিয়ার্স ছাড়াও ৮৫ রানের ঝড়ো একটি ইনিংস খেলেছেন হাশিম আমলা। আর ডি কক খেলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন। ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মাশরাফি ১০ ওভার বল করে ৮২ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন। তাসকিন আহমেদও ৯ ওভার বল করে ৭১ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পান নি।
এমএএন/এমএমআর/জেআইএম