সাকিবের জোড়া আঘাতে বাংলাদেশ দলের মধ্যে একটা স্বস্তি তৈরি হয়েছিল । কিন্তু স্বস্তিকে ভয়াবহ অস্বস্তিতে পরিণত করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার 'দানবীয় ব্যাটসম্যান" এবি ডি ভিলিয়ার্স। ভিলিয়ার্সের ১৭৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের উপর ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশকে।
Advertisement
৪৮তম ওভারে রুবেল যদি না ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরাতেন , তাহলে রান আরও বেশিও হতে পারতো। কারণ ডি ভিলিয়ার্স আজ প্রথম থেকেই তেতে ছিলেন। শেষ দিকে এসে আরও তেতে উঠেছিলেন। ১৭৬ রানেই এই ইনিংসে তার ছয়ের মার আছে ৭টি আর চার আছে ১৫টি।
শেষ ওভারে রুবেল হোসেন অবশ্য পর দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভবনা তৈরি করেছিলেন। তৃতীয় ও চতুর্থ বলে জেপি ডুমিনি ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে ফেরান। তবে শেষ বলটি দারুণ করলেও হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন পূরণ হয়নি এই গতিতারকার।
ডি ভিলিয়ার্স ছাড়াও ৮৫ রানের ঝড়ো একটি ইনিংস খেলেছেন হাশিম আমলা। আর ডি কক খেলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস।
Advertisement
ইনিংসের ৩৭তম ওভারের শেষ বলটিতে কিছুটা অপ্রসস্তুত হয়ে মুশফিকের হাতে ক্যাচ তুলে দেন আমলা। ফলে ৮৫ রানে সাজঘরে ফেরেন হাশিম।
এর আগে দলীয় ১৮তম ওভারে সাকিব দুই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে প্রোটিয়া দলে ভাঙ্গন ধরান।
ওভারের তৃতীয় বলে হাফ সেঞ্চুরি থেকে চার রান দূরে থাকা ডি কককে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব। দুই বল পরই নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে আসা ডু প্লেসিসকে বোকা বানিয়ে সরাসরি বোল্ড করেন সাকিব।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রুবেল হোসেন। ১০ ওভারে ৬৪ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মাশরাফি ১০ ওভার বল করে ৮২ রান দিয়ে উইকেটশুন্য ছিলেন। তাসকিন আহমেদও ৯ ওভার বল করে ৭১ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পান নি।
Advertisement
এখন দেখার পালা, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এই পাহাড় সমান রান তাড়া করে জিতে সিরিজে সমতা আনতে পারেন কিনা।
এমএএন/এমএমআর/জেআইএম