নাসির হোসেনের একটি বল হাশিম আমলা উঠিয়ে মারলেন সজোরে। বলটি বাউন্ডারি পাড় না হয়ে, এক ফিটেরও কম দূরত্বে পরেই থেমে গেল। এক ইঞ্চিও নড়লো না। এই কথাটি বলার কারণ , শুধু বোঝানোর জন্য পার্লের বোল্যান্ড পার্কের আউট ফিল্ড কতটা বাজে।
Advertisement
এমন একটা মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের সাথে ওয়ানডে খেলার আয়োজন করেছে, যেমন মাঠে বাংলাদেশের তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেট লিগও অনুষ্ঠিত হয় না!
তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয়, খেলা শুরু হওয়ার একদিন আগেই মাঠের বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি বের হয়ে খুবই বাজে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু এক রাতের মধ্যেই দেখা গেল, জাদুর ছোঁয়াতে অনেকখানি সবুজ হয়ে উঠেছে মাঠ!
আসলে কালো জায়গাগুলোয় কৃত্রিম রং ব্যবহার করেই মাঠের চেহারা কিছুটা সবুজ করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। ফেলা হয়েছে আলগা মাটি। আয়োজকেরা তাতে মোটামুটি সফলও। বাউন্ডারির বাইরে থেকে অন্তত এখন আর মাঠটাকে অত ক্ষতবিক্ষত মনে হচ্ছে না। তবে একটু ভালো করে তাকালেই দৃশ্যমান হচ্ছে রঙের আড়ালে লুকিয়ে থাকা অমসৃণ জায়গাগুলো।
Advertisement
এদিকে মাঠের চেয়েও করুণ অবস্থা প্রেস বক্সের । প্রেস বক্স বলতে আসলে কিছুই নেই। ড্রেসিং রুমের নিচেই সাংবাদিকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাঠ আর প্রেসবক্স একই লেভেলে হবার কারণে ঠিকভাবে খেলা দেখা যাচ্ছে না। তার উপর প্রেস বক্সের সামনে নানান ধরনের পিলার ও খেলোয়াড়দের ডগআউট। ফলে অনেকটা বিপাকে আছেন সাংবাদিকরা।
বোল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী জেমস ফরটুইন অবশ্য আগের রাতেই এই অব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশি সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। হতাশার সুরে তিনি জানান, গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে গত জুন মাসে সংস্কার কাজ শুরু হয় বোল্যান্ড পার্কের। বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচটা পড়ে গেছে সেই সংস্কার কাজের মধ্যে।
এমএএন/এমএমআর/এমএস
Advertisement