দেশে হার্ডওয়্যার শিল্পকে রফতানিমুখি করতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হলো তথ্যপ্রযুক্তির আসর ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৭’।
Advertisement
‘মেক ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে আয়োজিত প্রদর্শনীটি বুধবার সকালে উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। এর সুফল পেতে হলে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাণিজ্যিকরণ করতে হবে।
Advertisement
আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেন, আগামী প্রজন্মের হাত ধরে আমরা আমাদের লক্ষে পৌঁছাতে পারব। তাই তরুণদের তথ্যপ্রযুক্তি সমৃদ্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন বিশেষায়িত শিক্ষক। আমাদের দেশে উপযুক্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে। প্রয়োজনে উন্নত দেশ থেকে শিক্ষক এনে তরুণদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, হার্ডওয়্যার খাতে সক্ষমতা বাড়াতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস ২০২১ সালের মধ্যেই হার্ডওয়্যার রফতানি করবে বাংলাদেশ।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, আমরা এখন তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বাস করছি। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তাবায়নে কাজ করছে আইসিটি ডিভিশনের আওতাধীন হাইটেক পার্ক কতৃর্পক্ষ। এই পার্কে বিনিয়োগের নতুন দ্বার সৃষ্টি হচ্ছে।
বিসিএস সভাপতি আলী আশফাক বলেন, সরকারের সব আইসিটি পলিসি বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। এরই অন্যতম উদাহরণ আজ থেকে শুরু হওয়া বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৭। এটি দেশের সর্ববৃহৎ আইসিটি প্রদর্শনী।
Advertisement
আইসিটি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সম্প্রসারণে আইসিটি এক্সপোর মতো প্রদর্শনী বিশেষ ভূমিকা রাখে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়। এখন এটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইমরান আহমেদ, বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, বিসিএসের মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকারসহ আইসিটি খাতের নেতারা।
২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে।
আসরটি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম, সেলিব্রেটি, হারমনি, কার্নিভাল, মিল্কিওয়ে, মিডিয়া বাজার, উইন্ডি টাউনের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
তিন দিনব্যাপী পুরো প্রদর্শনীকে লোকাল ম্যানুফ্যাকচারার্স, আইওটি ও ক্লাউড, প্রোডাক্ট শোকেস, ইনোভেশন, মিট উইথ ইন্টারন্যাশনাল ম্যানুফ্যাকচারার্স, ডিজিটাল লাইফস্টাইল, মেগা সেলস, সেমিনার, বিটুবি ম্যাচমেকিং ও হাই-টেক পার্কসহ এ রকম ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে।
১৩২টি প্যাভিলিয়ন ও স্টলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রকল্প, কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করা হবে। এই আয়োজনে তিনটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। এতে অংশ নেবেন দেশ-বিদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
এমএ/এনএফ/আরআইপি