খেলাধুলা

বিসিবির নির্বাচনে চার ভোটার নিয়ে আপত্তি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায়। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর চারজনকে নিয়ে আপত্তি তোলা হয়।

Advertisement

এই আপত্তির ওপর ভিত্তি করে আজ বিসিবির নির্বাচন কমিশনে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে চার অভিযুক্ত ভোটারকেই বৈধ বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

তবে ১৬৭ জনের মধ্যে থেকে এই চারজনের নাম নির্বাচন কমিশন থেকে না জানানো হলেও বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন এর মধ্যে একজন বিসিবির সাবেক সভাপতি সাবের হোসেনের বারিধারা ড্যাজলারস ক্লাবের রিয়াজ আহমেদ।

এর আগে বিকেল থেকেই চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করার কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু ভোটার তালিকা ঘোষণা নিয়ে বারবার দেরি করছিল নির্বাচন কমিশন। এরই ফাঁকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে কথা বলে যান বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

Advertisement

কথা শেষে আবার অপেক্ষার পালা শুরু হয় নির্বাচন কমিশনের। বারবার বিসিবি ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অল্প সময়ের মধ্যেই কথা বলবেন নির্বাচন কমিশনার। এভাবে গড়ির কাঁটায় ৮টা বেজে যায়।

এরই মধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা বোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আগের ১৬৭ জন ভোটারের নামই দেখা যায়। মোট ভোটার হওয়ার কথা ছিল ১৭২ জন, তবে পাঁচজন আবেদনপত্র জমা না দেয়াতে তাদেরকে বাদ দেয়া হয়। বাদপড়া ভোটাররা হলেন- বান্দরবান জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাগেরহাট জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন, কুড়িগ্রাম স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বিমান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা।

এসময় নতুন প্রশ্নের উদয় হয়! সেকেন্ড ডিভিশন থেকে লালমাটিয়া ক্রিকেট ক্লাব ও ফিয়ার ফাইটার্স বহিষ্কার হওয়াতে ১০টি ক্লাব থেকে ভোটার হচ্ছে। ফলে আরও দু’জন ভোটার কম হওয়ার কথা। মানে মোট ভোটার সংখ্যা হওয়ার কথা ১৬৫ জন।

এই প্রশ্নের অপেক্ষায় আরও এক ঘণ্টা পাড়। দেখা নেই নির্বাচন কমিশন কিংবা বিসিবির সিইওর। তাদের দেখা গেল বারবার বারান্দায় ফোনে কথা বলতে। কিন্তু তারা বাইরে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের কোনোকিছুতেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। তারপর সোয়া ৯টার দিকে এসে উপস্থিত হন নির্বাচন কমিশনররা।

Advertisement

নির্বাচন কমিশনার মো. ওমর ফারুক এসে বলেন, ‘চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। শুনানি শেষে তাদের মুক্তি দেয়া হয়েছে।’

এরপরই তাদেরকে প্রশ্ন করা হয়, দুই ক্লাব বাদ যাবার পরও কীভাবে ১৬৭ জন ভোটার হয়? এই প্রশ্নের জবাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, ‘এর জবাব আমরা দিতে পারব না। বিসিবি দিতে পারবে।’

এরপরই এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রথমে কিছুটা ইতস্তত করেন বিসিবির সিইও নিজামুদ্দীন চৌধুরি সুজন। তিনি প্রথমে বলেন, ‘হিসাবে কোথাও একটা ভুল হচ্ছে।’

এরপর তার হাতে একটা চিরকুট দেয়া হয় বাইরে থেকে। সেটা দেখে তিনি বলেন, ‘গতবার ভোটার তালিকায় না থাকা, দু’জন ভোটার এবার নিবন্ধিত হয়েছে। তারা হলেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড আর মেহেরপুর জেলা।’

এটুকু বলেই চলে যান তারা। তাদের হাতে আরও কাজ আছে বলে ব্যস্ততা দেখান তারা।

এমএএন/বিএ