দেশজুড়ে

কদমতলী বাস টার্মিনাল নিয়ে শ্রমিক-যুবলীগ সংঘর্ষ-গুলি

সিলেটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের দখলের পুরনো বিরোধ নিয়ে আবারও দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বাস টার্মিনালে শ্রমিক-যুবলীগ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

এতে অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য শাহিন আহমদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কদমতলী বাস টার্মিনালের তাজমহল রেস্টুরেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল থেকে কদমতলী বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিক ও যুবলীগের মহড়া চলছিল। দুপুরে টার্মিনালের তাজমহল রেস্টুরেন্টের ভেতর বসেছিলেন পরিবহন শ্রমিকদের নেতারা।

এ খবর পেয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ৬/৭টি মোটরসাইকেলযোগে ১২/১৫ জন যুবলীগ নেতাকর্মীরা তাজমহল রেস্টুরেন্টের ভেতরে হামলা চালান।

Advertisement

এ সময় হামলাকারীরা রেস্টুরেন্টের দেয়ালে পর পর তিন রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে মুহূর্তেই টার্মিনালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করেন। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে টার্মিনালের পরিবহন শ্রমিকরাও পাল্টা আক্রমণ করেন। এতে উভয়পক্ষ তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে হামলাকারী একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মহানগর দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ওসি খায়রুল ফজল ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হুমায়ুন রশিদ চত্বরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।

পুলিশ প্রথম দফা অবরোধ ভাঙানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর পরিবহন নেতা ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে আলোচনার মাধ্যমে অবরোধ ভাঙাতে সক্ষম হন।

তাজমহল হোটেলের ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ বলেন, বেলা ২টার দিকে ৭/৮ জনের একদল যুবক মোটরসাইকেলযোগে এসে আকস্মিক তাজমহল হোটেলে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তাদের মাথায় হেলমেট ও গামছা পরিহিত ছিল। তারা হোটেলে হামলা ভাঙচুর কালে ২/৩ রাউন্ড ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় হোটেলে দুটি তালা লাগিয়ে যায়। হোটেলের লোকজন হামলাকারীদের কাউকে চিনতে পারিনি।

Advertisement

সিলেট সড়ক ও পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সেলিম আহমদ ফলিক বলেন, হামলাকারীরা যুবলীগ নেতা মহসিন কামরান, সোহেল খান, শামীম, দুলালের নেতৃত্বে এসে হামলা ও লুটপাট চালায়। তাজমহল হোটেলে ভাঙচুর-লুটপাট শেষে পালিয়ে যাওয়ার পথে হামলাকারীরা আমার বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে শ্রমিকরা হামলাকারীদের ধাওয়া করেন।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, কদমতলিতে হোটেলে তাজমহলে একদল যুবক হামলা-ভাঙচুর করেছে। এ সময় সংঘর্ষে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। টার্মিনাল ও হোটেল তাজমহল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের উত্তেজনা চলে আসছে।

ছামির মাহমুদ/এএম/আইআই