খেলাধুলা

টপ অর্ডারে লম্বা ইনিংস খুব জরুরি

‘স্কোরলাইন দেখে ব্যাটিংকে ভাল মনে হলেও পরে বোঝা গেছে, কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালের ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে ২৭৮ যথেষ্ঠ ছিল না। আর তাই দুই প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক ও হাশিম আমলা হেসে খেলে ওই রান টপকে গেছেন। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচের ৪৩ বল আগে ১০ উইকেটের বড় জয়ের বন্দরে পৌছে গেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।

Advertisement

খেলা শেষে ওই ম্যাচ নিয়ে অনেক কথা। কারো মত, রানটাই কম হয়ে গিয়েছিল। ডায়মন্ড ওভালে ২৭০-২৮০ কোন স্কোর না। এই রান নিয়ে লড়াই করা সম্ভব না। আবার কেউ কেউ বলছেন, ‘২৭৮ বেশি না হলেও একদম কমও না।’

অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও কিন্তু তাই মনে করেন। খেলা শেষে সংবাদ সন্মেলনে কথা বলতে গিয়ে টাইগার অধিনায়ক জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হ্যাঁ রান একটু কম হয়ে গেছে। স্কোরলাইনটা আরও বড় হলে অবশ্যই ভাল হতো। তারপরও ২৭৮ একদম কম রান নয়। বোলিং ভাল হলে আর শুরুতে প্রোটিয়াদের কয়েকটি উইকেটের পতন ঘটাতে পারলে তাদের চাপে ফেলা যেত; কিন্তু আমরা আলগা বোলিং করে তা পারিনি।’

প্রোটিয়াদের একটি উইকেট পতন ঘটাতে না পারার বিষয়টাকে খুব বড় করে দেখছেন মাশরাফি। তার কথা, ‘আমি ভাবতেই পারছিনা যে, আমরা একটি উইকেটেরও পতন ঘটাতে পারিনি। ১০ উইকেটের হার যে কল্পনায় আসেনি আমার।’

Advertisement

এ কারণেই বোলিংয়ে উন্নতির জোর তাগিদ তার মনে, কন্ঠেও। তাই টাইগার অধিনায়ক ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিং নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন বেশি। তার চিন্তা-ভাবনায় বোলিংটাই থাকছে এগিয়ে।

প্রথম ম্যাচ শেষে মাশরাফি বোলারদের সবাইকে যার যার বোলিংয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ করার কথা বলেছেন। বলেছেন, ‘মানছি রান একটু কম ছিল, তারপরও আমরা মোটেই ভাল বল করিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫ /৬ উইকেটের পতন ঘটাতে পারলে মনে করতাম আমরা কিছু করেছি।’

বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়কের সুরে কথা বলেছেন তিন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, হাাবিবুল বাশার ও খালেত মাসুদ পাইলট। তারা তিনজনই দুই ওপেনারের যে কোন একজনের ব্যাট থেকে বড় ইনিংসের আশায়। এছাড়া স্কোরটাকে ৩০০ প্লাস করার কথাও বলেছেন। আর বোলারদের সঠিন লাইন ও লেন্থে বল করার পরামর্শও দিয়েছেন।

মোট কথা, সবার একটাই কথা- পার্লের বোল্যান্ড পার্কে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাড়াতে হলে প্রথমত: বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভাল খেলে স্কোরলাইনকে আরও বড় করতে হবে। প্রথম ম্যাচের মত ১৫ থেকে ২৭ /২৮ রান করে আউট হলে চলবে না। প্রথম ম্যাচে মুশফিক যেমন একদিক আগলে রাখার পাশাপাশি শেষ পর্যন্ত উইকেটে থেকে ইনিংস শেষ করে এসেছেন, ওপেনারদের কারো কাছ থেকে ঠিক অমন ভুমিকা মানে দীর্ঘ ইনিংস আশা করছেন সবাই।

Advertisement

দুই ওপেনারের একজন লম্বা ইনিংস খেলতে পারলে স্কোরলাইন আপনা-আপনি আরও বড় হয়ে যাবে। প্রতিদিন তো আর মুশফিক খেলে দেবেন না। বাকিদের এই বোধ-উপলব্ধিটাও খুব জরুরী। ওপরের দিকে একজন লম্বা সময় উইকেটে থাকলে পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের স্বচ্ছন্দে খেলা সহজ হয়। রান তোলার গতি ঠিক থাকে। মিডল লিটল অর্ডারের ওপর চাপ কমে যায়। সে কারণেই ওপরের দিকে একজনের দীর্ঘ ইনিংস খুব জরুরী।

এআরবি/আইএইচএস/আইআই