বহুবার এসেছি সাঁইজির ধামে। এবারে এসে তৃষ্ণা যেন আরও বেড়ে গেল। দিন যাচ্ছে, মানুষ হিংসায় সমাজকে অস্থির করে তুলছেন। আর এমন অস্থির সমাজে স্থিরতা আনতে লালন সাঁইজির দেখানো পথের কোনো বিকল্প নেই। লালন দর্শনেই মানব মুক্তি।
Advertisement
বলছিলেন, সমকালীন বাউল জগতের প্রাণ পুরুষ আরিফ দেওয়ান। পালাগান আর বাউল গানে তিনি বাংলার লোক সঙ্গীতের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরছেন দেশ-বিদেশে। আরিফ দেওয়ান ঢাকার কেরানিগঞ্জের বামনশুর গ্রামে বিখ্যাত দেওয়ান পরিবারে জন্ম নেন। আধ্যাত্বিক গানের বিস্তার আর চর্চায় দেওয়ান পরিবারের সুখ্যাতি রয়েছে উপমহাদেশজুড়ে। পাঁচ প্রজন্ম আগে দরবেশ আলেপ চাঁন ওরফে আলফু দেওয়ান লালন সাঁইজির জামানার সাধক ছিলেন। তারই সুযোগ্য সন্তান মালেক দেওয়ান এবং খালেক দেওয়ান এ অঞ্চলে পালা গানের প্রবক্তা।
দাদা দরবেশ মালেক দেওয়ানের কাছ থেকে সঙ্গীত জীবনের হাতেখড়ি আরিফ দেওয়ানের। চলছেন দাদার (গুরু) আর্শীবাদ নিয়েই।
ভারত-বাংলাদেশ লালন পরিষদের আয়োজনে লালন স্মরণোৎসবে প্রধান শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন করেন আরিফ দেওয়ান। আখড়ায় সাধুসঙ্গের কেন্দ্রেও ছিলেন তিনি।
Advertisement
সাধুর সঙ্গে আলাপ হয় জাগো নিউজ-এর। বলেন, লালন সাঁইজির বাণী যতই ধারণ করি, ততোই ক্ষুধা বাড়ে। এত প্রেম, এত তত্বকথা অন্য কোনো সাধকে মেলে না। সাঁইজির ধামে এসে এবার যে ভালোবাসা, প্রেম পেলাম, তার প্রতিদানে কিছু দেবার সাধ্য আমার নেই।
তিনি আরও বলেন, সমাজ হিংসায় ভরে গেছে। সর্বত্রই বৈষম্য। হিংসা দূর করতে হলে, সমাজে সমতা ফিরে আনতে গেলে লালনের চেতনা ধারণ করতে হবে। মানুষের মাঝেই তো প্রভুর বসবাস। আর সাঁইজি মানুষের জয়গানই গেয়েছেন সারাজীবন।
সাধুসঙ্গ প্রসঙ্গে বলেন, আখড়াবাড়িতে এসে এবার যে প্রেম পেলাম, তা আত্মাকে পবিত্রতা দিয়েছে বলে মনে করি। প্রেমেই ভজন প্রেমেই সাধন। এখানে শুধুই প্রেম আর প্রেম। এ প্রেম কাম রিপুকে দমিয়ে রাখে। আত্মাকে করে জাগ্রত।
এএসএস/এএইচ/এমএস
Advertisement