ক্যাম্পাস

প্রক্সির অপরাধে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর দণ্ড

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে সম্মান (স্নাতক) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার অপরাধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীর এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

Advertisement

মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন অনুষদ ‘এফ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে ছবির সঙ্গে না মিল থাকায় ধরা পড়েন তিনি।

জালিয়াতির অভিযোগে দণ্ডপ্রাপ্ত মো. মনির হোসাইন (২৬) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বছর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জি’ ইউনিটে সফলভাবে পরীক্ষা দিয়েছেন বলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসকে জানান তিনি।

শিক্ষকদের কাছে থাকা ছবির সঙ্গে চেহারা না মেলায় দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পাবলিক ও হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের ২নং কক্ষ থেকে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে তুলে দেন দায়িত্বরত শিক্ষক। তিনি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (টিনশেড- ১০০৫ নং কক্ষ) আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন এবং মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার খাসকান্দি গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় মনিরকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সাভারের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রণব কুমার ঘোষ ১৯৮০ এর ৩০ এর খ ধারায় এ রায় প্রদান করেন। তিনি উমর ফারুক বাবু, রোল-৬২০৩২৫ নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

Advertisement

মনির জানান, মাস খানেক আগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সেতু তার সঙ্গে যোগাযোগ করে। এক লাখ টাকার বিনিময়ে জাবিতে ভর্তি করিয়ে দেয়ার জন্য রাজি হয়। পরে চুক্তি অনুযায়ী ভর্তিচ্ছুর ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন তিনি। এসময় পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীর ছবির সঙ্গে প্রবেশ পত্রের ছবির মিল খুঁজে না পাওয়ায় দায়িত্বরত শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক শরিফ হোসেন তাকে আটক করে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করে।

এর আগেও মনির হোসেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চুক্তি করে প্রক্সির মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়েছেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে সফল হয়েছেন বলেও জানান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

হাফিজ/এমএএস/এমএস

Advertisement