রাজশাহী ওয়াসা`র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ধীরেন্দ্র নাথ সরকারের স্ত্রী চন্দনা রানী সরকার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, চন্দনা রানী সরকারকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।নিহতের পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে চন্দনা রানী সরকারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার মরদেহ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। হত্যার পর বিষয়টি ধামাচাপ দিতে মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।এদিকে, স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন দাবি করে ধীরেন্দ্র নাথ সরকার নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১১টার দিকে গিয়ে চন্দনা রানী সরকারের মরেদেহ উদ্ধার করে।নগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আনিসুর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে পুলিশ রাজশাহী ওয়াসার এমডি ধীরেন্দ্রনাথ সরকারের স্ত্রী চন্দনা রানী সরকার নিজ শয়ণকক্ষে আত্মহত্যা করেছেন।এরপর পুলিশ গিয়ে চন্দনার মরদেহ উদ্ধার করে। সকাল নয়টার দিকে ধীরেন্দনাথ সরকার শারীর চর্চার জন্য বাড়ির বাইরে বের হলে সেই সুযোগে স্ত্রী চন্দনা নিজ শয়নকক্ষে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। ওড়নার কিছু চুমকি ছিড়ে নিচে মেঝেতে পড়েছিল বলেও জানান ওসি।ওসি আরো জানান, ধীরেন্দ্রনাথ সরকার সকাল ১০টার দিকে নগরীর কালেক্টরেট মাঠ এলাকায় অবস্থিত সরকারি কোয়ার্টারের ওই বাড়িতে ফিরে দেখেন তার স্ত্রী ঘরের ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দিয়েছে। এরপর তিনি বারবার স্ত্রীকে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে দুই ছেলে-মেয়েকে ডাকেন। শেষে দুই ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নিজ ঘরের দরজার ছিটকানি ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন ধীরেন্দ্রনাথ সরকার। এরপর ঘরের ফ্যানের সঙ্গে স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখে তিনি পুলিশকে খবর দেন।প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে চন্দনা রানী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তারপরেও কেউ যদি বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ করে থাকে তারপরে বিষয়টি গুরত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়াসার এমডি ধীরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, পারিবারিক কিছু সমস্যার কারণে স্ত্রী স্বেচ্ছায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে কোনো প্রকার নির্যাতন করা হয়নি বা হত্যা করা হয়নি।শাহরিয়ার অনতু/এআরএ/আরআই
Advertisement