দিনের আলোয় সেজেগুজে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান অভিনেত্রী কবিতা লক্ষ্মী। এরপর লাইট, ক্যামেরার ঝলকানিতে কেটে যায় পুরোটা দিন। এই চিত্র পাল্টে যায় রাত হলেই। তিনি ফুটপাতে খাবার বিক্রি করতে বসেন। অনেকটা গল্পের মতো হলেও এভাবে জীবনযাপন করেন মালায়ালাম সিরিয়ালের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী কবিতা লক্ষ্মী।
Advertisement
অভিনয়টা তার প্যাশন হলেও ওই উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চালাতে পারেন না তিনি। স্বামী নেই, ছেলে ও মেয়ের দায়িত্ব তার কাঁধে। সুদিনের আশায় এক ট্রাভেল এজেন্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কবিতা। সংস্থার তরফে লক্ষ্মীকে পরামর্শ দেয়া হয়, তার ছেলেকে যুক্তরাজ্যে পাঠাতে।
সেখানে পার্টটাইম কাজ করে ছেলে প্রায় ১০ পাউন্ড করে আয় করতে পারবে, আশা ছিল এমনটাই। পাশাপাশি একটি কোর্স করে নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিতও হতে পারবে। সেই ভরসায়ই বুক বেঁধেছিলেন কবিতা। কিন্তু ছেলে উপার্জন করতে পারেনি সে অর্থ। উল্টো কোর্স ফি হিসেবে কবিতাকেই মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হয়।
সব মিলিয়ে যা অবস্থা, তাতে ছোটপর্দায় অভিনয় করে আর চলে না লক্ষ্মীর। ফলে শুটিংয়ের কাজ শেষ হলে রাস্তায় খাবার বিক্রি করেন তিনি। ছোট একটা খাবারের দোকান আছে। নিজেই সেখানে রান্না করেন। হাসপাতালের কাছে হওয়ায় রাতে বিক্রিটাও ভালো হয় বলে জানা যায়।
Advertisement
দক্ষিণী একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মালায়ালাম জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘স্ত্রীধনম’- অভিনয় করা লক্ষ্মী জানিয়েছেন, আপাতত দুটি সিরিয়ালের কাজ করছেন তিনি। সংসার চালানোর জন্য খাবার বিক্রি করতে হয়। তবে তার জন্য অভিনয় ছাড়েননি। পাশাপাশি খাবার বিক্রি করাকে কখনও ছোট করেননি। জীবনে এভাবেই উপার্জন আর প্যাশনের ভারসাম্য খুঁজে নিয়েছেন তিনি।
এনই/এমএস