বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ইলিশ আহরণ মৌসুমের শুরুতে এখানকার নদ-নদীতে ধরা পড়তে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। এ কারণে সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকার জেলে পল্লীর খেটে খাওয়া মানুষের মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য আড়ত কেবি বাজারে আসতে শুরু করেছে সাগরে ইলিশ মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলো।তাই এবার ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে থাকবে বলে আশা করছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তবে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়লেও দাম অনেকটা বেশি বলে দাবি স্থানীয় ক্রেতাদের।বাগেরহাটের প্রধান মৎস্য আড়ত কেবি বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আষাঢ় থেকে আশ্বিন মাসে ইলিশের আমদানি হয় প্রচুর। সাগর থেকে প্রতিদিন ইলিশ নিয়ে ২০/২৫টি ট্রলার ভেড়ে এ মৎস অবতরণ কেন্দ্রে।রফতানির জন্য মোকামের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে বড় বড় ট্রাক। ট্রাক বোঝাই সেসব ইলিশ রফতানি হয় ভারতসহ বিভিন্ন স্থানে। এবার মৌসুমের শুরুতেই যেভাবে ইলিশ ধরা পড়ছে তা অব্যাহত থাকলে দেশের চাহিদা পূরণ করে ইলিশ বিদেশে রফতানি করা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।শরনখোলা উপজেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ৩০ জুন পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ হলেও ইলিশ আহরণ কাজে নিয়োজিত জেলেরা কোনো জাটকার দেখা পাচ্ছেন না। মৌসুমের শুরুতেই বলেশ্বর ও সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় বড় বড় ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বড় আকারের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে এবং ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬শ থেকে ৭শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।উপজেলার কদমতলা গ্রামের বাসিন্দা জেলে আ. হালিম ও ইসমাইলসহ কয়েকজন জাগো নিউজকে বলেন, মৌসুমের শুরুতে যেভাবে ইলিশ ধরা পড়ছে তা অব্যাহত থাকলে দাম অনেকটা কমে আসবে।এ ব্যাপারে উপকূলীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, গত ২/৩ দিনের বৃষ্টির কারণে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। ফলে অনেক জেলেদের মাঝে দেখা দিয়েছে স্বস্তি।তিনি আরো বলেন, সাগরে দস্যুতা বন্ধে প্রশাসনের কড়া নজরদারি অব্যাহত থাকলে যদি মৌসুম জুড়ে ইলিশ ধরা পড়ে তাহলে জেলেসহ এ কাজে নিয়োজিত ব্যবসায়ীরা গত বছরের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে।শরনখোলা উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার শহিদুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, রোববার রাত থেকে স্থানীয় জেলেরা বলেশ্বর নদীসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর ইলিশ আহরণ করছেন।শওকত আলী বাবু /এমজেড/আরআই
Advertisement