বিনোদন

শোবিজে নিয়মিত হতে চান মিস ওয়ার্ল্ডের সাঈদা

ঢাকার মেয়ে সাঈদা ঈমান মিডিয়ায় একেবারেই নবীন। ছোটবেলায় ছায়ানটে গান শিখেছেন। এরপর বাসায় অনুশীলন করতেন। কয়েক মাস আগেও তিনি লেখাপড়ায় ডুবে থাকতেন, পড়ছেন ঢাকার ইমপেরিয়াল কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে।

Advertisement

এরপর ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় তৃতীয় রানার্স আপ হয়ে রাতারাতি বদলে গেছে জীবন। এখন চোখে স্বপ্ন দেখছেন শোবিজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে।

কীভাবে মিস ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে যুক্ত হলেন? জানতে চাইলে সাঈদা জাগো নিউজকে বলেন, ‘গেল জুন মাসে আমার কাজিন আমাকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’র লিংক দেয় ফেসবুকে। এরপর খেয়ালের বসে অনলাইনে অ্যাপ্লাই করি। পরে এটা নিয়ে মাথা ঘামাইনি। হঠাৎ একদিন একটি মেইল আসে বাছাই পর্বে অডিশনের জন্য সিলেক্ট হয়েছি। এরপর মা-ভাইকে জানাই। তারা আমাকে সাপোর্ট করেন। সেখান থেকেই যাত্রটা শুরু।’

মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আগে সাঈদা জানতেন না ক্যাটওয়াক কি জিনিস। কীভাবে এক্সপ্রেশন দিতে হয়, ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে হয়। সবকিছুর ধারণা পেয়েছেন মিস ওয়ার্ল্ডের প্ল্যাটফর্ম থেকে। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুশ্রম নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আগে থেকে থাকলেও সাঈদা মিস ওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে আরও উৎসাহ পেয়েছেন।

Advertisement

এর মধ্যে রাস্তা-ঘাটে বাচ্চাদের লেগুনা চালানো দেখে বেশি খারাপ লাগত সাঈদার। চোখের সামনে দুর্ঘটনাও দেখেছেন। তার ইচ্ছে ছিল ওইসব অল্প বয়সের শিশুদের জন্য কাজ করার। মিস ওয়ার্ল্ডের প্ল্যাটফর্ম পেয়ে জানতে পারলেন এ কাজগুলো আরও সহায়ক হবে। শুধুই কি এসব!

অভিনয় কিংবা মডেলিংয়ে ঝুঁকবেন না? সাঈদা বললেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জীবনে ভালো কিছু করতে হলে ধীরে চলতে হয়। ধাপে ধাপে সামনে এগুতে হয়। তাই আমি ধীরে সুস্থে চলতে চাই। আর সিনেমা নয়, আমি বিজ্ঞাপন ও নাটকে কাজ করতে চাই। এছাড়া শর্টফিল্মেও কাজ করার ইচ্ছে আছে। যদি আমাকে এসব কাজে ব্যাপারে কেউ যোগাযোগ করতে চান তাহলে অন্তর শোবিজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই আমাকে পাওয়া যাবে।

এদিকে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকলেও সেটি গায়ে মাখতে চাননা সা্ঈদা। তার দাবি, যারা বিতর্ক করছেন তারা তো কেউ এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে ছিল না। এই প্রতিযোগিতা যে কতটা স্বচ্ছ ছিল সেটা যারাই প্রতিযোগী ছিলেন তারা বলতে পারবেন। প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত নাসরিন ম্যাম, দোলা ম্যাম ওনারা নিজের মেয়ের মত আদর-যত্ন করতেন।

সাঈদা বলেন, ‘সবসময় আমাদের সাপোর্ট করতেন। নিজের মেয়ের মতো আমাদের সেরা ১০ জন মেয়েদের দেখভাল করতেন। সবসময় আমার মেয়েরা বলতেন, প্রতিযোগী বলতেন না। অন্তর শোবিজ এবং ওমিকন এন্টারটেইনমেন্টের দুই ম্যাম আমাদের এত আগলে রাখতেন যে কোনো নোংরামি আমরা দেখিনি। এত বেশি স্নেহ পেয়েছি যে কখনোই ভুলব না।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই সবকিছু ঠিক ছিল। চূড়ান্ত পর্বে নাম ভুল হওয়াতে বিতর্ক বাঁধে। এছাড়া কিছু মেয়ে বিবাহিত এটা শোনা গেছে। আমি বলব যারা বিবাহিত তারাই ধোঁকা দিয়েছে। এখানে আয়োজকদের কোনো দোষ নেই। তারা বিশ্বাস করেই প্রতিযোগীদের সুযোগ দিয়েছেন। প্রতিযোগিতারা নিজেদের দোষ লুকিয়েছে।

সবগুলো মেয়ের বায়োডাটা যাচাই করা উচিত ছিল। আয়োজকরা কেউ ভাবতেই পারেননি যে প্রতিযোগীরা প্রতারণা করবেন। এটা তো শিক্ষিত মানুষের ব্যবহারও না। আর নিয়মাবলিতে উল্লেখ রয়েছে, বিবাহিতরা অংশ নিতে পারবেন না।’

এনই/এলএ