খেলাধুলা

মাশরাফিদের বিপক্ষে ডি কক-আমলার রেকর্ড

যত কথাই বলা হোক না কেন, আবারও প্রমাণ হলো, শতভাগ ব্যাটিং উপযোগী কন্ডিশনে বাংলাদেশের বোলিং খুবই দূর্বল, নির্বিষ। গত জুনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও মিলেছিল এ সত্যের দেখা। ওভালে সেমির যুদ্ধে ২৬৪ রানের লড়াকু পুঁজি নিয়েও ৯ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। আজ কিম্বার্লিতে ২৭৮ রানের বড় স্কোর গড়ে ১০ উইকেটে পরাজয় বোলিং দৈন্যর আরও বড় উদাহরণ হয়ে রইল।

Advertisement

টেস্টে ইনিংস পরাজয় আর ক্রিকেটে ১০ উইকেটে হার-নতুন ঘটনা নয়। অহরহই ঘটে। সমান শক্তির দলও কখনো কখনো ১০ উইকেটে হেরে যায়। এমন নয় বাংলাদেশ আগে কখনই ১০ উইকেটে হারেনি। বাংলাদেশেরও ওয়ানডেতে বেশ ক’বার লজ্জার এই রেকর্ড আছে। তবে আজকের ১০ উইকেটের হারে দুটি বড় নতুনত্ব আছে।

ওয়ানডেতে আজই সবচেয়ে বেশী রান করে ১০ উইকেটে হারের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। আগে কখনই ২৭৮ রান করে ১০ উইকেটে হারের রেকর্ড ছিল না টাইগারদের। আজ বাংলাদেশের বোলারদের লজ্জায় ডুবিয়ে সেই না হওয়া ঘটনাই ঘটিয়েছেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক আর হাশিম আমলা।

যেহেতু আগে কোনদিন এত রান করে ১০ উইকেটে হারেনি বাংলাদেশ, তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন দল রান তাড়া করতে গিয়ে ২৭৯ রানও করতে পারেনি। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা সে দূর্লভ কৃতিত্বই স্থাপন করলেন।

Advertisement

শুধু বেশী রান তাড়া করে ১০ উইকেটের লজ্জায় ডোবানো নয়, এদিন কিম্বার্লিতে প্রোটিয়া ওপেনার ডি কক ও হাশিম আমলা বাংলাদেশের বোলিং দৈন্যতা আরও বড় করে দেখালেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আগে কোন দলের উদ্বোধনী জুটি ২২৫ রানের বেশী করতে পারেননি। আজ সে রেকর্ডও ভাঙ্গলো।

এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে কিংবা পরে ব্যাট করে প্রথম উইকেটে প্রতিপক্ষের সর্বোচ্চ ছিল ২২৫ রান। বিস্ময়কর হলেও সত্য, সেটা কোন টেস্ট খেলিয়ে দেশের নয়। ১৯৯৭ সালে কেনিয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম উইকেটে ২২৫ রানের বিশাল জুটি গড়ে দিয়েছিলেন দুই কেনিয়ান ওপেনার দিপকচুদাসামা (১২২) ও কেনেডি ওটিয়ানো (১৪৪)। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে গড়া ২২৫ রানের বিশাল জুটির ওপর ভর করে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৪৭ রানের পাহাড় সমান স্কোর গড়ে ১৫০ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছিল কেনিয়া।

আর আজকের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে রান তাড়া করে প্রথম উইকেটে সবচেয়ে বড় জুটির স্রষ্টা ছিলেন দুই শ্রীলঙ্কান উপুল থারাঙ্গা ও মাহেলা জয়বর্ধনে। ২০১০ সালের বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম উইকেটে ২১৫ রান তুলেছিলেন তারা। তাদের এই জুটিতে ৩৭.৫ ওভারেই ২১৫ রান উঠে গেলে বাংলাদেশের ২৪৯ রান ৯ উইকেট হাতে রেখে অনায়াসেই টপকে যায় শ্রীলংকা।

এআরবি/এমএমআর/আরআইপি

Advertisement