রাজানের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা কার্যক্রম ছুটি ঘোষণা করা হলেও চলছে পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (আই.এস.আর.টি) অধীনে ফলিত পরিসংখ্যান বিষয়ের সকল বর্ষের পরীক্ষা। রোববার (২১ জুন) থেকে শুরু হয়ে এ পরীক্ষা ৬ জুন ( ১৮ রমজান ) পর্যন্ত। এতে আই.এস.আর.টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জানা গেছে, রোববার থেকে আই.এস.আর.টি তে ১ম বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষ পর্যন্ত একযোগে ২য় ইনকোর্স পরীক্ষা শুরু হয়। অথচ শিক্ষার্থীদের দাবি এ পরীক্ষা রমজানের বেশ কিছু দিন আগে থেকে শুরু করলেও কোন ক্ষতি হত না। রমজানে রোযা রেখে পড়াশোনা করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অনেক কষ্টকর হয়ে যায় বলে জানান শিক্ষার্থীরা।পরীক্ষা শুরুর বেশ কিছুদিন পূর্বে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড.হাসিনুর রহমান খানের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করলে তিনি তাদের বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দেন, কিন্তু পরবর্তীতে সেটার আর কোন অগ্রগতি দেখা যায় নি। তবে অধ্যাপক ড.হাসিনুর রহমান বলেন, আমার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন শিক্ষার্থী এ ব্যাপারে আলোচনা করে নি, হয়ত বা ক্লাসে তারা বলে থাকতে পারে। শিক্ষার্থীরা পরিচালকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও ভয় পায় বলে জানা যায়। ফলে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখার মধ্য দিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। ফেসবুকে বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্ন প্রতিকি ছবি ব্যবহার করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের অধিকাংশ সিলেবাস শেষের দিকে। এমনকি ২য় ইনকোর্সের সিলেবাস প্রায় ১ মাস আগে শেষ হয়েছে, অথচ পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে রমজান মাসে। প্রতিবছর দেখা যায় যে, ফাইনাল পরীক্ষা নভেম্বরের মধ্যে শেষ করে দিয়ে ডিসেম্বরে অবকাশ দেয়া হয়, যা শিক্ষার্থীদের কাছে অপ্রয়োজনীয় সময় বলে বিবেচিত হয়। অথচ এ সময়কে বাইরে কাজে লাগিয়ে শিক্ষকরা অর্থ উপার্জন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই শিক্ষকদের সুবিধামত রমজানের ছুটিতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে বিভাগের পরিচালক ড.মাহবুব লতিফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সম্ভব হয় নি।মনির হোসাইন/এএইচ/এমএস
Advertisement